Cooch Behar News: CCTV থেকে বাঁচতে কম্বল জড়িয়ে মন্দিরে ঢুকেছিল চোর ! কালী মূর্তির মাথার মুকুট ধরে টানতেই..
Cooch Behar Kali Temple Incident: সিসিটিভি থেকে বাঁচতে গায়ে মাথায় কম্বল জড়িয়ে মন্দিরের ভেতরে ঢুকেছিল চোর, কালী মূর্তির মাথার মুকুট ধরে টানতেই সরে গেল কম্বল, তারপর যা হল..
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: সিসিটিভি থেকে বাঁচতে গায়ে মাথায় কম্বল জড়িয়ে মন্দিরের ভেতরে ঢুকেছিল চোর ! তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। কালী মূর্তির মাথার মুকুট ধরে টানতেই সরে যায় কম্বল। আর তাতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় চোর।
দুদিন আগেই দিনহাটার কৃষি মেলা মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি কালী মন্দির থেকে চুরি হয়, মা কালীর বেশ কিছু অলংকার, ঘটনা তদন্ত নেমে মন্দিরের সিসিটিভি ফুটে খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখানে দেখা যায়, একজন কম্বলমুড়ি দিয়ে মন্দিরে ঢুকে চুরি করছে মা কালীর অলংকার। যে সময় কালীর মাথার মুকুট চুরি করতে যাচ্ছিল চোর সেই সময় মাথা থেকে সরে যায় কম্বল। পরে সেই সিসিটিভি খতিয়ে দেখে দিনহাটার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজিদুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, কোচবিহারের ঘুঘুমারির বাসিন্দা সুজন কর্মকারকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। যার কাছে মজিদুল ওই অলংকার বিক্রি করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
মূর্তি চুরি এদেশে নতুন কিছু নয়। এদেশে এনিয়ে ছবিও হয়েছে। ও হেনরির দ্য লাস্ট লিফ-র অনুসরণে, কিছু বছর আগে হিন্দি ছবি লুটেরা বানিয়েছিল বলিউড। বাংলা ছবিতেও এর ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। খাজুরাহো থেকে কৈলাশ, অজন্তা-ইলোরা দেশের প্রাচীন সব মন্দিরের গা থেকে মূর্তি চুরি করে তা পাচার করে দেওয়ার উদাহরণ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে মঙ্গলকোটে মন্দির থেকে চুরি গিয়েছিল বহুমূল্যবান দুটো প্রাচীন বিষ্ণুর প্রস্তরমূর্তি।
যা মূলত ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অজয় নদ থেকে গ্রামবাসীরা দুটো মূর্তি উদ্ধার করেছিল। তারপর মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা শুরু করেছিল। কিন্তু তা দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি। মন্দিরের ভিতরের বেদি থেকে মূর্তি দুটো উপড়ে চোরেরা নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ' মঙ্গলকোটের খেঁড়ুয়া গ্রামের মূর্তি চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গ্রামে। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'চোখ দিয়ে রক্ত বের করে ছাড়ল..', বিধানসভায় নির্যাতিতার মা-বাবা, শুভেন্দু-নৌশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
একুশ সালে আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল বালুরঘাটে। পুলিশ উদ্ধার হয়েছিল এক প্রাচীন অষ্টধাতুর মূর্তি। শুধু তাই নয়, ওই মূর্তির ব্রোঞ্চের রেপ্লিকা-সহ আরও দুটি মূর্তি উদ্ধার করেছিল বালুরঘাট থানার পুলিশ। ইতিহাসবিদের মতে অষ্টধাতুর ওই মূর্তিটি ১৪ শতকের হতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ক্রেতা সেজে বালুরঘাটের ছিন্নমস্তা পল্লী এলাকার এক বাড়ি থেকে মূর্তি দুটি উদ্ধার করা হয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।