Cooch Behar News : তৃণমূলের পার্টি অফিসে চলল তির, পড়ল বোমা ! রক্তারক্তি কাণ্ড
তির, সঙ্গে বোমা নিক্ষেপ। মঙ্গলবার রাতে উত্তপ্ত দিনহাটার ভেটাগুড়ি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : মঙ্গলবার উত্তপ্ত দিনহাটার ভেটাগুড়ি । রাতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । তিরবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-সহ ৩।
রাতে বোমাবাজি
শুধু তাই নয় কোচবিহারের এই এলাকায় মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ দিনহাটার ভেটাগুড়ি ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরা এসেই তির ছুড়তে থাকে। সেইসঙ্গে বোমা নিক্ষেপও করে। তিরবিদ্ধ হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অনন্ত বর্মন।
বোমা উদ্ধার
ঘটনাস্থল থেকে ৩টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের প্ররোচনাতেই হামলা বলে অভিযোগ করছেন তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে, জেলা সভাপতি রদবদল ঘিরে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল থেকেই এই ঘটনা। অতি সম্প্রতি, কোচবিহারে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল পার্থপ্রতিম রায়কে। নতুন জেলা সভাপতি হন অভিজিৎ দে ভৌমিক। এই ঘটনার দিকেই বিজেপি আঙুল তুলেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, জেলাস্তরে তৃণমূল যে রদবদল করেছে, তার থেকেই শুরু হয়েছে ঘরোয়া অসন্তোষ।
বুধবার ভাঙচুর হওয়া তৃণমূলের পার্টি অফিস ঘুরে দেখেন জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। তিনি এলাকা পরিদর্শন করে জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
আজই রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল, নতুন দায়িত্বে অভিষেক-ঘনিষ্ঠরা?
উল্লেখ্য, গত ১ তারিখ দলীয় স্তরে বেশ কিছু দায়িত্ববদলের কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। একাধিক জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হয়। বদল হয় তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান পদেও। বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় অশনি মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় জেলা সভানেত্রী হন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বনগাঁয় গোপাল শেঠকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে। নতুন সভাপতির নাম পরে জানানো হবে। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর জায়গায় জেলা সভাপতি পদে আনা হল অরিন্দম গুঁইকে। কোচবিহারে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় পার্থপ্রতিম রায়কে। নতুন জেলা সভাপতি হন অভিজিৎ দে ভৌমিক। দক্ষিণ দিনাজপুরে উজ্জ্বল দে বসাকের জায়গায় তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি হন মৃণাল সরকার।