Coochbihar News: নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, নর্দমা তৈরিতে বাধা তৃণমূল নেতার
Coochbihar Update: নিম্নমানের কাজের অভিযোগ স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতার। অভিযোগ মানকে নারাজ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষের। শাসকদলের কোন্দলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। এই অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হল নর্দমা তৈরির কাজ। ঘটনাস্থল কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বাণেশ্বর বাজার। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তোলা হয়েছে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতার তরফে। সেই কারণেই কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষের দাবি, কাজ ঠিকঠাক হচ্ছিল। এমন ঘটনায় শাসকদলের কোন্দলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
কী ঘটনা:
নিম্নমানের কাজের অভিযোগে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ বন্ধের ঘটনাকে ঘিরে সরগরম কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের বাণেশ্বর এলাকা। ওই এলাকার একটি বাজারে গত কয়েক মাস ধরে পাকা নর্দমা তৈরির কাজ হচ্ছে। বাণেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ওই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। বারবার দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, এই কারণেই শনিবার সঙ্গীদের নিয়ে এসে নর্দমা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন ওই নেতা। তাঁর আরও অভিযোগ, শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় তিনি বিষয়টি তুলে ধরার পর তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে তিনি পুণ্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন।
কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, 'বারবার প্রধানকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। গতকাল ফেসবুকে পোস্ট করি। তারপর ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। ব্লক অফিসে অভিযোগ জানাই। ব্লক অফিস বলেছে, মঙ্গলবার দেখতে আসবে। ততদিন কাজ বন্ধ থাকুক।'
যদিও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা ও কোচবিহার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ।
কোচবিহার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মিহির সরকার বলেন, 'কিছু ছেলে, তাদের মধ্যে আমাদের উজ্জ্বল আছে, কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কাজ ঠিকঠাকই হচ্ছে। খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছে, কাজ ঠিকই হচ্ছে।'
বিজেপির কটাক্ষ:
কাজ নিয়ে এমন ঝামেলায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কোচবিহারের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, 'তৃণমূল কোনও উন্নয়ন চায় না। ওরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। এক গোষ্ঠী কাজ করছে, অন্য গোষ্ঠী কাজ বন্ধ করছে। এরা তোলাবাজি ছাড়া আর কিছু বোঝে না।'
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কয়েকমাস ধরে চলছে কাজ। এরই মধ্যে বৃষ্টির কারণে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বানেশ্বর বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী মদন দাস বলেন, 'প্রায় ৬ মাস ধরে কাজ চলছে। ব্যবসা চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। আমরা চাইছি, দ্রুত কাজ শেষ করা হোক।' সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।