Mamata Banerjee : রেল দুর্ঘটনায় ইস্তফা দিয়েছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গ্রহণ করেননি বাজপেয়ী
Coromandel Express Derailed : ভারতীয় রেলের ইতিহাসে একাধিক রেলমন্ত্রীরা ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরে দিয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফা।
হাওড়া : বালেশ্বরের মৃত্যুমিছিলের পিছনে দায়ী ঠিক কোন কারণ ? সিগন্যালিং ব্যবস্থার সমস্যার কারণেই জেরেই কি ট্র্যাক বদলাতে পারেনি করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Derailed) ? না কি চালকের গাফিলতি ? যদি তা নাও হয়, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী করে ? অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস - কবচের কার্যকরী না হওয়া ঘিরে ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করতেও শুরু করেছেন বিরোধীরা। এর মাঝেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও করেছেন অনেকে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে একাধিক রেলমন্ত্রীরা ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরে দিয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফা।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকালেই আগেও তৈরি হয়েছিল এরকম প্রেক্ষাপট। যদিও সেবার 'অপেক্ষা'র বার্তা দিয়ে থামিয়েছিলেন মোদি। ২০১৭ সালে ৪ দিনের মধ্য়ে ২টি দুর্ঘটনার পর দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। ট্য়ুইট করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, সব শুনে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, ‘একটু অপেক্ষা করুন’। তবে শুধু নরেন্দ্র মোদিই নন, আগেও রেলমন্ত্রীদের ইস্তফা দেওয়া থেকে বিরত করেছেন প্রধানমন্ত্রীরা।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রেল দুর্ঘটনার পর দিয়েছিলেন ইস্তফা। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। ২০০০ সালের ঘটনা। পঞ্জাবে ঘটেছিল মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা। যেখানে মৃত্যু হয়েছিল ৪৩ জনের, আহত হয়েছিলেন ১৪৫ জন। যে ঘটনার পরই ইস্তফা দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সেই পদত্যাগ গৃহিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সামনেই রেলে বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা ও গাফিলতির প্রসঙ্গগুলি সামনে তুলে ধরেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে অ্যান্টি কলিসন ডিভাইসের কাজ না করার পাশাপাশি রেলমন্ত্রকের কাজের সম্বন্নয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- লাশের সারি উদ্ধার জারি, হাওড়ায় ফিরল দুর্ঘটনাগ্রস্থ বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেস
রেলমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতা বলেন, "আপনি বিষয়টি দেখুন। আমার কাছে খবর আছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র ছিল না। যা ঘটে গিয়েছে, ঘটে গিয়েছে। এতগুলি প্রাণ তো আর ফিরবে না! কিছু বলার ভাষা নেই। কিন্তু এর মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে। ভাল করে সবদিক খতিয়ে দেখতে হবে। এতগুলি মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছে।" করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলা থকে বহু মানুষ ছিলেন। তবে হতাহতের মধ্য়ে বাংলা থেকে কত জন রয়েছেন, এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: আমের পরে ঠান্ডাপানীয় খেলে সত্যিই বিপদ? না কি শুধুই রটনা?