Coronmandel Train Accident: 'রেল আমার কাছে সন্তানের মতো, রেলমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে রাজি', করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মন্তব্য মমতার
Coronmandel Accident: ১৯৯৯ এ বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে রেলমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আজকাল, রেল বাজেট পেশ করা হয় না। অথচ আমি একটা দীর্ঘ সময় রেলমন্ত্রী ছিলাম।'
কলকাতা: রেলপথে আবার ফিরে এল বিভীষিকা। ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহত হয়েছে বাংলার বহু নাগরিক। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিন বালেশ্বরে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। দুর্ঘটনাস্থল থেকেই সাফ জানিয়ে দেন, 'এটা রাজনীতি করার সময় নয়'। রেলমন্ত্রীর সামনেই রেলের সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী
ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা জারি। কী ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ৩টি ট্রেন, বাড়ছে রহস্য। সেই প্রেক্ষিতে মমতা জানান, যদি তারা এখানে একটি অ্যান্টি-কলিউশন ডিভাইস থাকত, তাহলে এত লোক মারা যেত না। তিনি বলেন, 'করমণ্ডল এক্সপ্রেসে কোনও অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস ছিল না। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, আমি একটি অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস চালু করেছিলাম যা নিশ্চিত করে যে একই ট্র্যাকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে চলা ট্রেনগুলি থামবে। এই ট্রেনে কোনও অ্যান্টি-কলিউশন ডিভাইস ছিল না। এই ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োগ করে এই ঘটনা এড়ানো যেত।'
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ এ বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে রেলমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আজকাল, রেল বাজেট পেশ করা হয় না। অথচ আমি একটা দীর্ঘ সময় রেলমন্ত্রী ছিলাম। রেল আমার কাছে সন্তানের মত। আমি রেল পরিবারের সদস্য বলেই নিজেকে মনে করি। তাই কোনও রকম পরামর্শ দিতেও আমি প্রস্তুত।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারে যোগ দিয়েছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।২০০০ সালে, তার প্রথম রেল বাজেটে, তিনি পশ্চিমবঙ্গে অনেকগুলি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করেছিলেন। ২০০৯ এও ইউপিএ-২ সরকারের রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ২০১৩-তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত ৬৫০। মৃত ও আহতর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ। গ্যাসকাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে চলছে উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
আরও পড়ুন, মৃত্যুনগরী বালেশ্বর! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৫