Covid Third Wave: অসতর্কতায় বিপর্যয় নামতে পারে স্বাস্থ্য পরিষেবায়, সতর্ক করলেন চিকিৎসকেরা
Covid Third Wave: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছিলেন। রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন অসহায় মানুষ। সেই অবস্থা ফিরে আসুক, চান না চিকিৎসকেরা।
কলকাতা: অতিসংক্রামকের তকমা পেলেও, ওমিক্রনের (COVID Variant Omicron) প্রকোপে প্রাণহানি (COVID Deaths) তুলনামূলক কম। করোনায় সার্বিক মৃত্যুর হারও (Mortality Rate) আগের তুলনায় কমেছে। কিন্তু মানুষ সতর্ক না হলে দীর্ঘ সময় ধরে অতিমারির (Pandemic) প্রকোপ চলবে, লক্ষ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হবেন এবং তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপর্যয় নেমে আসবে। সরকারের পর এ বার সাধারণ মানুষের উদ্দেশে এমন বার্তা দিলেন চিকিৎসক মহলও।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার, যোগীরাজ, অভিজিৎ চৌধুরী এবং দীপ্তেন্দ্র সরকার। সেখানে মানুষকে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন তাঁরা। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গোটা বিশ্বে মৃত্যুর হার ছিল ১.৩ শতাংশ। এখন তা .৩-.২-এর মধ্যে ঘোরাঘুরি করলেও, বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে, তাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টিই ভআবাচ্ছে আমাদের। এই কারণেই নির্বাচন, উৎসব-সহ ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলতে বলছি আমরা। কারণ বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে হাসপাতাল এবং শয্যার জোগান দিতে হিমশিম খেতে হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট চাপ নেমে আসুক, তা চাইছি না আমরা।”
আরও পড়ুন: Omicron News Updates: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই করোনা আক্রান্ত ১০০ পড়ুয়া, দেশে বাড়ছে উদ্বেগ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (COVID Second Wave) সময় দিল্লি-সহ দেশের একাধিক রাজ্য থেকে মর্মান্তিক ছবি উঠে এসেছিল। অক্সিজেনের অভাবে শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছিলেন সেই সময়। অক্সিনেজের জোগান দিতে সেই সময় হিমশিম খেতে হয়েছিল হাসপাতালগুলিকে। রাস্তার অক্সিজেনের খোঁজে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছিল মানুষকে।সেই প্রসঙ্গ টেনে চিকিৎসকরা জানান, অক্সিজেনের অভাবে রাস্তায় ছুটে বেড়াবেন মানুষ, সেই দৃশ্য ফিরে আসুক চান না তাঁরা। মানুষ যত অসতর্ক হবেন, করোনার প্রকোপ ততই বাড়বে। তাতে দীর্ঘ দিন ধরে করোনা জ্বালিয়ে যাবে। তাই মানুষকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে হবে বলে জানান তাঁরা।
বিগত কয়েক দিনে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরব গঙ্গোপাধ্যায়-সহ রাজ্যে নেতা-মন্ত্রীদের একে একে সংক্রমিত হতে দেখা গিয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁদের ককটেল অ্যান্ডিবডি দেওয়া হয়। তার জেরে রাজ্যে ককটেল অ্যান্টিবডির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসকদের দাবি, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এই ককটেল অ্যান্টিবডি সে ভাবে কার্যকর নয়। তাই ককটেল অ্যান্ডিবডি নিলেই, অতিমারিকে ঠেকানো যাবে, এই ধারণা সঠিক নয়।