DA Agitation: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরব, বিধানসভা অভিযানের ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
West Bengal News: রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে চিঠি।
কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে এবার বিধানসভা অভিযানের ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। অধিবেশন চলাকালীন যে কোনও দিন বিধানসভা (West Bengal Assembly) অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা। রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে চিঠি।
বিধানসভা অভিযানের ডাক: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে প্রায় ১৮০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিলেন তাঁরা। আজ থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভা অধিবেশন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে যে কোনও দিন অভিযানের ডাক দেওয়া হবে। আগামী ৪ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের সিদ্ধান্ত। এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন বলেছিলেন যে সরকার ডিএ দিতে পারে না তাদের সরকারে থাকার অধিকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন তাঁকে সেই কথা মনে করাতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিচ্ছি।’’
এর আগে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে সামিল বাকি বিরোধী দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছিল তৃণমূল-সহ ২৬টি বিরোধী দল। যার প্রথম দফার বৈঠক সোমবার হয়েছে। আর সেদিনই কংগ্রেস, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, DMK, NCP ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলকে চিঠি পাঠিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সেখানে লেখা হয়েছিল, দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে, কেন্দ্রের সমান DA দেওয়া হয়। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে তাদের কর্মীদের ৪২ শতাংশ DA দেয়, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৬ শতাংশ। সরকারি দফতর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। যা রাজ্যের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। স্থায়ী কর্মী নিয়োগের বদলে, চুক্তিভিত্তিক বিপুল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে চিঠিতে আরও লেখা হয়েছিল, বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ও স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের কাজে গিয়ে অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। এরপরই মঞ্চের তরফে বিরোধী দলগুলির কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল, যেহেতু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় স্তরের ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, তাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য যেন তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।