Debangshu Bhattacharya: বাম আমলে যোগ্য হয়েও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী কারা? তালিকা তৈরি করছে TMC, ফেসবুকে পোস্ট দেবাংশুর
মেল আইডি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান ও দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য।
কলকাতা: বাম আমলে যোগ্য হয়েও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী কারা? তার তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল। মেল আইডি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান ও দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)।
ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন দেবাংশু?
ফেসবুক পোস্টে দেবাংশু উল্লেখ করেছেন, ২০০৭-২০১০ পর্যন্ত চাকরির পরীক্ষার নম্বর বিকৃত হয়েছে বলে যাঁরা মনে করেন, তাঁদের নিজেদের নাম, জেলা, ফোন নম্বর ও পরীক্ষার বৈধ নথি এই মেল আইডি-তে পাঠাতে পারেন। অভিযোগকারী চাইলে তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও শিক্ষামন্ত্রী কেন তালিকা প্রকাশ করছেন না, তৃণমূল জমানায় সবাই সৎ, একথা কেন বলছেন না, পাল্টা খোঁচা সুজন চক্রবর্তীর।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের (TMC) ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কলেজে নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। চলতি মাসে কালীঘাটে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীকে একটি তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। '১৯৯০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাম আমলে কারা কারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ?' নাম খুঁজে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) তালিকা বানাতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রীর কলেজে নিয়োগ বৈধ কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষিতে এখনই তদন্তের পথে হাঁটছে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দিনকয়েক আগে জানিয়েথেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যখন বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণে নবান্ন, তখনই সম্প্রতি বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা নিশানা করতে শুরু করেছে তৃণমূল। যার মধ্যে মূলত টার্গেটে রয়েছেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য। যিনি ২০২১ সালে গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ থেকে অবসর নিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'বাম জমানায় সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি পরীক্ষার ভিত্তিতে হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। বিস্তারিত তদন্ত অবশ্যই দরকার। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কিনা, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। তৃণমূল সরকার বাম আমলে নিয়োগের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বলেছে। সেই শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে মামলা হলে আদালত নির্দেশ দিলে বিচার হতে পারে।' মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।