Dengue Case: বাড়ছে ডেঙ্গি উদ্বেগ, ৫ বছরে আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড রাজ্যে
WB Dengue Update: স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুধু মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোর ১১ দিনে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: উৎসবের মরশুমে রাজ্যে আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Case)। গত পাঁচ বছরের তুলনায় রাজ্যে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি সংক্রমণ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্তই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার। এরই মধ্যে গতকাল হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের।
বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা: রাজ্যে থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু, এখনও উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি। লাফিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুধু মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোর ১১ দিনে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবছর ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭৬ হাজার ছুঁইছুঁই। যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৫৩।
এরই মধ্যে ফের রাজ্যে আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ার নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বছর ২৭-এর আতিশ সিংহর। সূত্রের খবর, জ্বর নিয়ে সোমবার ভর্তি হন রামেশ্বর মালিয়া লেনের বাসিন্দা আতিশ। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের উল্লেখ রয়েছে। এই নিয়ে বেসরকারি মতে, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এবছর সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে ৪৮ হাজার ৩১১ জনের। বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাবে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে ২৮ হাজার ১৬৪ জনের। গত ৫ বছরের তুলনায় রাজ্যে এবারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর,২০২২ সালে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৬৭ হাজার ২৭১ জন।২০২১ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ৮হাজার ২৬৪ মানুষ। ২০২০-তে সংখ্যাটা ছিল ৫হাজার ১৬৬। তবে ২০১৯ ও ২০১৮ সালে রাজ্যের তরফে আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার শহরাঞ্চলে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৩২ জন। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৬২১। বিধাননগর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩ হাজার ৪০১ ও ১ হাজার ৫৮৩। অন্যদিকে, বনগাঁ ব্লকে সংখ্যাটা ৮৯৯ ও আমডাঙায় ৫৪৭। এবিষয়ে চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরি বলেন, “প্রচুর কেস পাচ্ছি। বৃষ্টি কমলেও এখনই প্রভাব বোঝ যাবে না আর চলবে। কোভিড থাকায় ডেঙ্গি ধরা পড়েনি।’’
আরও পড়ুন: Coochbehar News: বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, সিতাইয়ে আক্রান্ত DYFI নেতৃত্ব