Dengue Death: ফের ডেঙ্গি কাড়ল প্রাণ, কলকাতায় মৃত্যু হল যুবকের
WB Dengue Death: মৃত যুবক বছর ৩৫-এর গাবতলা লেনের বাসিন্দা। ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যালে মৃত্যু হয়েছে অরিজিৎ দাস নামে ওই যুবকের।

কলকাতা: ফের ডেঙ্গিতে কলকাতায় মৃত্যু। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে মৃত্যু হয়েছে বেহালার বাসিন্দা যুবকের। পরিবার সূত্রে খবর, গতকালই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ। বর্ষা আসতেই রাজ্যজুড়ে বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এই আবহে কলকাতায় ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল। মৃত যুবক বছর ৩৫-এর গাবতলা লেনের বাসিন্দা। ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যালে মৃত্যু হয়েছে অরিজিৎ দাস নামে ওই যুবকের। উপসর্গ নিয়ে গতকালই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখও রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আর এই ঘটনাতেই রাজ্য়ের দুই সরকারি হাসপাতাল, এসএসকেএম এবং শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন মৃতের পরিবার।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বছর ৩৫-এর অরিজিৎ পেশায় সেলসম্য়ান ছিলেন। মৃতের শ্বশুরের দাবি, গত শনিবার জ্বর হয়েছিল তাঁর। রবিবার রক্ত পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গি ধরা পড়ে জামাইয়ের। এরপর তাঁকে প্রথমে এসএসকেএম এবং তারপর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতের শ্বশুরের দাবি, এসএসকেএমে বেড নেই বলে এবং শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের রোগী সঙ্কটজনক নয় বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বেহালার বিদ্য়াসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অরিজিতকে। মৃতের শ্বশুরের দাবি, বৃহস্পতিবার কলকাতা মেডিক্য়ালে নিয়ে আসার পর, ভর্তির প্রক্রিয়া চলাকালীনই মৃত্য়ু হয় অরিজিতের। মৃতের শ্বশুর শিশির দলুই বলেন, "আমরা ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম এস এস কে এমে বলল বেড নেই। শমভুনাথ পণ্ডিতে নিয়ে গেলে বলে বাড়ি নিয়ে চলে যেতে। ওরা যদি ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা করত তাহলে এটা হত না। আমরা বিদ্য়াসাগর নিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার অবস্থা ভাল হয়। আমাদের বলে অন্য় কোথাও নিয়ে যান। বুধবার বেহালার বালানন্দ ব্রহ্মচারী হাসাপাতালে নিয়ে গেলে নিয়ে গেলে কাল সকালে বলা হয় অন্য় কোথাও নিয়ে যাও।''
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৬৭ হাজার ২৭১ জন। ২০২৩ সালে রাজ্য়ে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দেয় ১২ বছরের রেকর্ড। ওই বছর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার জন। তার পরের বছর আক্রান্ত হন ৩১ হাজার ১০০ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময়ে যাতে ডেঙ্গির উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রকের National Centre for Vector Borne Diseases Control বা NCVBDC-র ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে- ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৪ সালে শেয়ার করা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের ডেঙ্গি-তথ্য। ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে কোন তথ্যই দেয়নি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।






















