Nirmal Chandra Roy: রাজভবনে শপথ নিলেন ধূপগুড়ির জয়ী TMC প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়
Dhupguri Nirmal Chandra Roy: তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কলকাতা: রাজভবনে শপথ নিলেন ধূপগুড়ির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী ( Dhupguri TMC Winner Candidate)। তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে (Nirmal Chandra Roy) শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শপথগ্রহণের পর একে অপরকে উত্তরীয় পরালেন রাজ্যপাল ও ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক। উপস্থিত রয়েছেন বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় (Tapas Roy)।
ধূপগুড়িতে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়
প্রসঙ্গত, ধূপগুড়িতে ৪ হাজার ৩১৩ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। ৯৬ হাজার ৯৬১ ভোট পান তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় । ৯২ হাজার ৬৪৮ ভোট পান বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। ১৩ হাজার ৬৬৬ ভোট পান কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বিজেপির থেকে ধূপগুড়ি ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। কার্যত কোনও ছাপই ফেলতে পারেনি বাম-কংগ্রেস জোট। অভিষেকের মহকুমা-ঘোষণাই ফ্যাক্টর, মেনে নেন খোদ বিজেপি প্রার্থী।
কী আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক ?
গত ২ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে প্রচারের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়িতে মহকুমা হিসেবে তৈরি করা হবে। ভোটারদের কথা দিয়ে নিজের আশ্বাস বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। যে ঘোষণা ইতিবাচকভাবে তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছে বলেই মনে করছেন কয়েকজন।
মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন অভিষেক
প্রসঙ্গত, জয়ের পর ধূপগুড়ির মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার রাজনীতিকে হারিয়েছে উন্নয়নের রাজনীতি, ধূপগুড়ির উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব', সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাল ছাড়েনি তৃণমূল
২০১৬ সালে ধূপগুড়ি কেন্দ্রটি সিপিএমের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। ২০২১ সালে সেটি আবার হাতছাড়া হয়ে যায় শাসকদলের। চলে যায় বিজেপির দখলে। ২ বছর পর সেই কেন্দ্র আবার নিজেদের আয়ত্তে আনতে হাল ছাড়েনি তৃণমূল। প্রার্থী বাছাই থেকে ভোট পরিচালনা, পুরোটাই নিজে হাতে সামলান অভিষেক।
আরও পড়ুন, আকাশ মেঘলা, আজ থেকে প্রবল বর্ষণের পূ্র্বাভাস হাওয়া অফিসের
অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক
১০ বছর ধরে পৃথক মহকুমার দাবি জানিয়ে আসছে ধূপগুড়িবাসী। সেটাকেই তুরুপের তাস করেন অভিষেক। ধূপগুড়িতে প্রচারে গিয়ে, সভামঞ্চ থেকেই দেন মাস্টারস্ট্রোক। উল্টোদিকে, শক্তঘাঁটি ধুপগুড়ি ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী। ২ দিন ধরে ধুগুড়িতে ভোট প্রচার করেন বিরোধী দলনেতা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে দেখা যায়, সুকান্ত মজুমদারকে। যদিও কোনও কিছুতেই লাভের লাভ হয়নি।