রাস্তা থেকে তুলে নিখোঁজ প্রৌঢ়র শুশ্রূষা, চিকিৎসক নিজেই দায়িত্ব নিয়ে ফিরিয়ে দিলেন পরিবারের কাছে
চিকিৎসকের মানবিকতায় কৃতজ্ঞ পরিবার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবারও মানবিকতার নজির ডায়মন্ড হারবারে। ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক মানসিক ভারসাম্যহীন নিখোঁজ এক ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিলেন পরিবারের কাছে। জানা গিয়েছে, গত ১৫ আগস্ট রাতে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল থেকে ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন চিকিৎসক হিমাদ্রি নন্দন হালদার। বৃষ্টি পড়ছিল। সেই সময় কুলপি-লক্ষ্মীকান্তপুর রাস্তার পাশে অচৈতন্য অবস্থায় এক প্রৌঢ়কে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
নিজেই গাড়িতে করে তুলে নিয়ে এসে মন্দিরবাজারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। চিকিৎসা শুরু করেন নিজেই। পরে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর প্রৌঢ়ের পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। সঠিকভাবে কিছুই বলতে পারছিলেন না ওই ব্যক্তি। এর পর সাহায্য নেAয়া হয় হ্যাম রেডিওর। হ্যাম রেডিওর সদস্যরা প্রৌঢ়ের ঠিকানা খুঁজে বের করেন।
জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম জগদীশ। হরিয়ানার ফরিদাবাদের বাসিন্দা সে। প্রায় ২১ দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বুধবার হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে প্রৌঢ়ের ছেলেরা এসে বাবাকে বাড়ি নিয়ে যান। চিকিৎসকের মানবিকতায় কৃতজ্ঞ পরিবার। পরিবারের কাছে ফেরাতে পেরে খুশি হ্যাম রেডিও সদস্যরাও। খুশি চিকিৎসকও।
এর আগে পুলিশের মানবিকতার নজিরের সাক্ষী থেকেছিল শহর কলকাতা ৷ তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকদের তৎপরতায় মাঝ রাস্তায় বিকল হওয়া অ্যাম্বুল্যান্স থেকে মুমূর্ষু রোগীকে উদ্ধার করে গ্রিন করিডোর করে পৌঁছনো হল হাসপাতালে ৷
ঘটনাটি ঘটে, ‘মা’ ফ্লাইওভারের কাছে ৷ সে সময় ডিউটিতে ছিলেন তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী এবং সার্জেন্ট সুমন্ত পাল। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যরত ট্রাফিক আধিকারিরা জানতে পারেন, সঙ্কটাপন্ন এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মা ফ্লাইওভারের উপর হঠাৎ বিকল হয়ে যায় একটি অ্যাম্বুলেন্স। সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ট্রাফিকের আধিকারিকরা ৷ মুমূর্ষু ওই রোগীকে দেখে প্রথমেই বিকল্প হিসেবে সায়েন্স সিটির কাছে রাখা কলকাতা পুলিশের একটি 'ট্রমা কেয়ার' অ্যাম্বুলেন্সকে ডেকে নেন তাঁরা।
কিন্তু সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত ষাটোর্ধ্ব ওই রোগীর অবস্থা তখন এতটাই সঙ্কটজনক, যে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল একটি ইন্টেনসিভ কেয়ার অ্যাম্বুলেন্সে। ফলে প্রয়োজন ছিল সেরকমই অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সের। এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে নিজের বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সার্জেন্ট সুমন্ত পাল। উদ্দেশ্য ছিল, নিকটবর্তী কোনও কারখানা থেকে অ্যাম্বুলেন্স মেরামত করার জন্য কোনও মেকানিককে নিয়ে আসা ৷