Digha Hotel: দিঘায় হোটেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড! বের করে দেওয়া হল পর্যটকদের, তালা লাগালো কর্তৃপক্ষ!
Digha Hotel Shut: ওল্ড দিঘায় হোটেল শ্যাম সুন্দর আবাস, নয়নতারা হোটেল সহ একাধিক হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঋত্বিক প্রধান, দিঘা: রাতে দিঘার হোটেলে ধুন্ধুমার কাণ্ডের জেরে তিনটি হোটেলে তালা লাগাল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। হোটেল মালিকদের সঙ্গে বচসার জেরেই এই ঘটনা। জানা যায় ওল্ড দিঘা শ্যামসুন্দর আবাসের কিছু বকেয়া টাকা ছিল সেই টাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। রাতে দিঘার হোটেলে হইচই! তিনটি হোটেলে তালা লাগিয়ে দিলেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মীরা।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর, দিঘার হোটেলগুলিতে আসা পর্যটক পিছু কর দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেই কর দেয়নি ৩টি হোটেল। নোটিস পাঠিয়ে সতর্ক করার পরেও মেটানো হয়নি কর। সেই করের টাকা না দেওয়ায় দিঘার তিনটি হোটেলে তালা ঝোলানো হয় বুধবার রাতেই। ঘটনাস্থলে যান দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা।
ওল্ড দিঘায় হোটেল শ্যাম সুন্দর আবাস, নয়নতারা হোটেল সহ একাধিক হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানান, পর্যটক পিছু যে কর জমা করতে হয়, সেই টাকা জমা না করায় নোটিস পাঠানো হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। তার পরেও কর জমা না করায় হোটেল বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, কোনও কারণে সরকারি কর জমা করতে পারেনি। তাই বলে পর্যটকদের বের করে হোটেলে তালা দেওয়া উচিত হয়নি। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সন্ধ্যায় এসে পর্যটকদের বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয় খুব্ধ এলাকার হোটেল সংগঠন ও ব্যবসায়ীরা। যা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়।
পর্যটকদের অভিযোগ তাদের খাবার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।ঘটনার স্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসেন।পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেল গুলিকে খোলার ব্যবস্থা করে।যে তিনটি হোটেলে তালা লাগানো হয়েছে সেটি হল শ্যামসুন্দর আবাস, নয়ন তারা, আসিকি-তে পরে পুলিশের উপস্থিতিতে সেই হোটেলগুলিতে তালা খুলে দেওয়া হয়।।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি পাল্টা দাবি গত দু'বছর ধরে একটি স্বাগত নামের পোর্টালের মাধ্যমে এই ট্যাক্স কালেকশন করা হয়।সে ক্ষেত্রে দিঘার বুকে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে যাদেরকে বারবার এই সম্পর্কে জানানো সত্বেও তারা ট্যাক্স জমা করেননি। তবে পর্যটকদের এইভাবে হ্যারাস করা উচিত হয়নি।
আর এই ঘটনা কে সামনে রেখেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মন্ডল বলেন, দিঘাতে যে ঘটনা ঘটেছে তার থেকে একটা কথা স্পষ্ট পর্যটকদের মাথাপিছু কর আদায় করা হলেও পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা নেই প্রশাসনের বা শাসক দলের |কারণ ওখানে যারা অভিযোগ করছেন তারাও তৃণমূলের তাদের অভিযোগ এর মধ্যেও ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল। তাই আচমকাই রাতে এমন হানা। আমরাও চাই সরকারি নিয়ম মেনে সব কিছু চলুক তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে।
এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি বলেন এটি আগে যিনি কালেকশন করেছিলেন সেই কালেকশনের একটি হিসাব নিয়ে গন্ডগোলের ফলে এই ঘটনা ঘটে. যিনি কালেকশন করতেন তার কাছেও রশিদ রয়েছে এবং হোটেলের কাছেও রশিদ রয়েছে এই ভুল বোঝাবুঝি মিটে যাওয়ার পরেই হোটেলটি খুলে দেয়া হয়। পরবর্তীকালে আমরা খতিয়ে দেখছি এইরকম বিষয়ে আর কোন হোটেলের ক্ষেত্রে রয়েছে কিনা তাহলে সে ক্ষেত্রে সমস্ত রশিদ মিলিয়ে দেখা হবে।






















