Dilip Ghosh : 'দেশবিরোধী শক্তিকে এখানে শেল্টার দেয়' জ্যোতির কলকাতা সফর নিয়ে মমতা-সরকারকে খোঁচা দিলীপের
দিলীপ ঘোষের দাবি, 'দেশে যখনই এই ধরনের দেশ বিরোধী গতিবিধি হয় তখনই তারা পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে।'

রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : পার্ক সার্কাস থেকে ব্যারাকপুর। শিয়ালদা থেকে হাওড়া চষে বেড়িয়েছেন পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতি মালহোত্র। এ রাজ্যে এসেছেন তিন-তিনবার। পুঙ্খাণুপুঙ্খ ভিডিও করার আড়ালে কি ছিল গোপন কোনও উদ্দেশ্য ? কেন নদিয়া গেদে সীমান্তে গিয়েছিলেন জ্যোতি? কেনই বা এত ছবি তুলেছেন কাঁকুড়গাছি ব্রিজের? এসব প্রশ্নের মাঝেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এরাজ্যের আরেক ইউটিউবারের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ। আর এনিয়ে এবার সরাসরি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
দেশবিরোধী শক্তিকে এখানে শেল্টার দেয় : দিলীপ
দিলীপ ঘোষের দাবি, 'দেশে যখনই এই ধরনের দেশ বিরোধী গতিবিধি হয় তখনই তারা পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে। আল কায়দা, পাঞ্জাবের জঙ্গি, সিমি, জামাত মডিউল। সবাই এখানে চলে আসে। এখান থেকে আধার কার্ড রেশন কার্ড বানিয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে উৎপাত করে ... যা কিছু দেশবিরোধী, তার সঙ্গে বাংলার লিঙ্ক জুড়ে যায়। এখানকার সরকার এই ধরনের দেশবিরোধী শক্তিকে এখানে শেল্টার দেয়। একটা মেসেজ দিয়ে দেওয়া হয়, আমরা আছি। এসো তোমরা।'
কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষের দিঘায় জগন্নাথ দর্শন ঘিরে দলীয় কোন্দল বেঁধে যায়। দিলীপকে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে তেতে ওঠে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল। ঘরের কিসসাকে ঘরের মধ্যে রাখতে পারেননি বিজেপির নেতানেত্রীরা। পুরো খুলেআম আকচাআকচি শুরু হয়ে যায়। এমন প্রশ্নও ওঠে, তাহলে কি ভবিষ্যতে তৃণমূলের ছাতার তলায় চলে যাবেন দিলীপ? এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে।
জ্যোতি বিতর্ক
পার্ক সার্কাস থেকে ব্যারাকপুর, খ্যাতনামা বিরিয়ানির দোকানে রয়েছে জ্যোতির একাধিক ভিডিও। বিরিয়ানি খেতে কলকাতার পাশাপাশি শহরতলিতেও গেছিল পাকিস্তানি চর সন্দেহে ধৃত এই ইউটিউবার। আর তাঁকে এই দোকানগুলিতে যে নিয়ে গেছিলেন এ রাজ্যেরই ইউটিউবার সৌমিত ভট্টাচার্য। আরসালানের ফিরনিও চেখে দেখেছেন সন্দেহভাজন পাক গুপ্তচর । আর এই সব ভিডিও দেখার পর থেকেই মানুষের মনে সন্দেহের মেঘ, বাংলাকে ঘিরেও কি কোনও ছক রয়েছে পাকিস্তানের ? তাহলে জ্যোতি কেন বারবার কলকাতায় আসেন? কেনই বা এত খুঁটিনাটি ভিডিও বানিয়েছেন তিনি এখানে ? এই সব প্রশ্নের মধ্যেই দিলীপ ঘোষের মুখে রাজ্য সরকারের সমালোচনা।






















