Dilip Ghosh : নাড্ডার বাড়িতে গিয়েও ফিরলেন দিলীপ ! কী ঘটল সেখানে?
Dilip Ghosh: মোদির সভার দিনই দিল্লি গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। জল্পনা মতোই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছন তিনি।

বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : বাংলায় মোদির সভার দিনই দিল্লি গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। জল্পনা মতোই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছন তিনি। কিন্তু ৫ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে আসেন সেখান থেকে । জানা যায়, বাড়ি ছিলেন না বিজেপি সভাপতি। বিকেলে দেখা হবে তাঁর সঙ্গে, বলে জানান দিলীপ।
রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়
এর আগেও জে পি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে সময় চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আজ প্রধানমন্ত্রীর সভায় দিলীপের না থাকা নিয়ে এরমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়। সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে একের পর এক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই , এই সাক্ষাৎকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাক্ষাৎটুকুই হল না।
আগে কী বলেছিলেন দিলীপ?
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত মোদির সভায় থাকা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'স্থানীয় নেতা-কর্মীরা দুর্গাপুরে যাওয়ার জন্য আমাকে বলেছেন। এখনও রাজ্য নেতৃত্ব আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে সবাই বসতে পারেন না। দর্শক হিসেবে ভাষণ শুনতে কারও অনুমতি লাগে না। ' কিন্তু বৃহস্পতিবার জানা যায় দিলীপ ঘোষ থাকছেন না মোদির সভায়। শুক্রবার সকালে তিনি দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যান। তার আগে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়েই বলেন, তিনি মোদির সভায় গিয়ে দলের অস্বস্তি বাড়াতে চান না। কর্মীরা চাইলেও তাঁর দল হয়তো চায় না যে , তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় থাকুন। তাই তিনি দুর্গাপুরে থাকছেন না।
দিল্লি ছুটে গিয়েও এখনও দেখা পেলেন না জেপি নাড্ডার
বৃহস্পতিবারই দুর্গাপুর পৌঁছে যান বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতারা। পৌঁছে যান বঙ্গ বিজেপির নতুন দায়িত্ব নেওয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি দুর্গাপুরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। কিন্তু একমাত্র অনুপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষই। অথচ তাঁর সময়েই এ রাজ্যে বিজেপির সাফল্য ছিল সবথেকে বেশি। অথচ ডাক পাননি তিনিই। আর এবার দিল্লি ছুটে গিয়েও এখনও দেখা পেলেন না জেপি নাড্ডার।
তবে কি এবার সাক্ষাৎ হবে দিলীপ ঘোষ ও জে পি নাড্ডার? হলে , কী নিয়ে হবে আলোচনা ? জানা যাবে আজ বিকেলেই।






















