Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কুর আগের পক্ষের ছেলের রহস্যমৃত্যু, আবাসন থেকে উদ্ধার হল দেহ
Rinku Majumdar: আজ সকালে শাপুরজির আবাসন থেকে উদ্ধার দেহ।

কলকাতা: বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের আগের পক্ষের একমাত্র ছেলের রহস্যমৃত্যু। নিউটাউনে শাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হল দেহ। দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের আগের পক্ষের ছেলের নাম প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়। আজ সকালে শাপুরজির আবাসন থেকে উদ্ধার হয় দেহ। (Dilip Ghosh)
বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত টেকনো সিটি এলাকার শাপুরজির একটি আবাসনে বাস করতেন ২৮ বছরের প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয়। বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে আবাসন থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। সেই অবস্থায় টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের পাশে অবস্থিত, নিউ টাউন থানার উল্টো দিতের ওহিয়ো হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশে খবর দিলে, পুলিশই গিয়ে দেহ বের করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে খবর। (Rinku Majumdar)
মৃত্যুর কারণ ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে এই মুহূর্তে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের বাইরে পৌঁছেছেন রিঙ্কু। কিন্তু তিনি গাড়িতেই রয়েছেন। নামেননি।
ওই আবাসনে তিনি একা থাকতেন, না কি অন্য কেউ থাকতেন, তাও জানা যায়নি। পরিবারের কেউ এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয়ের ফোনটি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। শেষ কার সঙ্গে কথা বলেন, তা জানা যায়নি। তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজও শুরু হচ্ছে।
গত ১৮ এপ্রিল দিলীপ ও রিঙ্কু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার পর একমাসও কাটল না, রিঙ্কুর আগের পক্ষের ছেলের রহস্যমৃত্যু ঘটল। সেই সময় রাজ্যের বাইরে ছিলেন সৃঞ্জয়। বিয়েতে আসতে না পারলেও, মাকে নবজীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। উপহার নিয়ে ফিরবেন বলে ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি। অত্যন্ত খোলামনেই মায়ের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেছিলেন।
সেই সময় ফোনে এবিপি আনন্দকে ওই যুবক বলেন, "ব্যক্তিগত ভাবে খুবই খুশি যে আমার মা খুশি। গত অনেক বছর সমাজের প্রতি, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন মা। আমি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। সময় দিতে পারি না। মা যে ব্যক্তিগত জীবনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি খুবই খুশি। মা আমাকে প্রচণ্ড ভালবাসেন, আমিও মাকে খুব ভালবাসি। সবসময় মায়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব। মায়ের সব সিদ্ধান্ত খুব স্বচ্ছ এবং যুক্তিগ্রাহ্য হয়। আমিও বুঝতে পারি, মা অনেকগুলো বছর একাই যুদ্ধ করেছে। ঠিকই আছে। আমি খুব খুশি।"






















