Durga Puja 2023: থ্যালাসেমিয়া রুখতে সচেতনতা বার্তা নিয়ে নবরূপে দুর্গা নদিয়ায়
Thalassemia Awareness Durga Puja: নদিয়ায় নব রূপে আসছেন এবার দেবী দুর্গা, তিনি সংসারও সামলান, দেন থ্যালাসেমিয়া রোগে সচেতনতার বার্তাও। পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগালেন গৃহবধূ।
প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: থ্যালাসেমিয়া রোগের সচেতনতার বার্তা (Thalassemia Awareness )নিয়ে গৃহবধূ পাপিয়া কর বানালেন নিজের হাতে দুর্গা প্রতিমা (Durga Idol)। তিনি এর আগে একাধিক সমাজসেবামূলক কাজের সুবাদে এসেছেন খবরের শিরোনামে। ২০১১ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন ফেলে দেওয়া বস্তুর পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে তৈরি করেন নিজের হাতে দুর্গা প্রতিমা। শুধু তাই নয়, সেই সমস্ত দুর্গা প্রতিমা বিক্রির টাকা দিয়ে, পুজোয় দুঃস্থ মানুষদের জন্য, প্রতিবছর তিনি নতুন জামা কাপড় কেনেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবছর কাগজ আর আঠা দিয়ে তৈরি করেছেন তিনি মায়ের মূর্তি।
উমা মাকে নবরূপে প্রতিষ্ঠা, তাক লাগালেন নদিয়ার গৃহবধূ
প্রসঙ্গত নদিয়া জেলায় প্রতিবছর থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হন বহু মানুষজন। থ্যালাসেমিয়া রোগের থেকে মুক্তি পেতে এবং সচেতনতা বার্তা দিতেই গৃহবধূ পাপিয়া কর তৈরি করেন এ বছর এক বিশেষ দুর্গামূর্তি। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরে তিনি মা দুর্গাকে একজন সাধারণ মেয়ের রূপ দিয়েছেন। যিনি হাতা খুন্তি নিয়ে সংসার করেন সাজগোজ করেন। বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন। এবং তার পাশাপাশি সমাজকে সচেতন বার্তাও দেন। মা দুর্গার হাতে দেওয়া হয়েছে, রক্তের প্যাকেট।
পুজোয় দুঃস্থ মানুষদেরও মুখে হাসি ফোটান তিনি
অসুরকে থ্যালাসেমিয়ার প্রতিকী হিসেবে দেখানো হয়েছে এখানে। মা দুর্গার নিজ হাতে রক্ত নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন সকলকে রক্তদান করতে সমাজের স্বার্থে। এবং তার পাশাপাশি মানুষের স্বার্থে এগিয়ে আসা উচিত সকলকেই। এই বার্তায় তিনি এ বছর দুর্গাপূজোয় দিতে চান বলে জানান। এছাড়াও গনেশ কার্তিককে থ্যালাসেমিয়ার বার্তা বাহক হিসেবে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, থ্যালাসেমিয়া মূলত একটি অটোজোমাল মিউট্যান্ট প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে রক্ত অক্সিজেন পরিবহণকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়।
আরও পড়ুন, EZCC-র খুঁটিপুজোয় এলেন না সুকান্ত, BJP কর্মীরা নিজেরাই সারলেন অর্পণ
দুর্গা প্রতিমা বিক্রির অর্থ দিয়ে দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য
লক্ষ্মী এবং সরস্বতীকে একজন সাধারণ মেয়ের রূপ দিয়েছেন তিনি।বেশ কয়েক মাস ধরে নিজ হাতে গৃহবধূ পাপিয়া কর বানিয়েছেন এই দুর্গা প্রতিমা। তার এই মহান উদ্যোগে খুশি পরিবার সহ আত্মীয়-স্বজনেরাও। তিনি চান প্রত্যেক বছরের মত এবছরও এই দুর্গা প্রতিমা বিক্রির অর্থ দিয়ে দুঃস্থ মানুষদের পুজোর সময় নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে।