দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুন ! পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ, সেখানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Duttabad Businessman Killed: ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার দুপুর ১টার আগে দত্তাবাদে সোনার দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ব্যবসায়ীকে তোলার জন্য এসেছিল দুটি গাড়ি, ফুটেজে মিলেছে এমনই তথ্য, জানিয়েছে পুলিশ।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, দত্তাবাদ : দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ব্যবসায়ীকে গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার আগে দত্তাবাদে সোনার দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ব্যবসায়ীকে তোলার জন্য এসেছিল দুটি গাড়ি, ফুটেজে মিলেছে এমনই তথ্য, জানিয়েছে পুলিশ। ব্যবসায়ীকে দুপুর ১ টা ২০ মিনিট নাগাদ নিউ টাউন AB ব্লকের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসা হয়। ২৮ মিনিটের ব্যবধানে সল্টলেক দত্তাবাদ থেকে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে আনা হয়েছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। গাড়ি থেকে কলার ধরে নামিয়ে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ঢোকানোর ছবি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। দুটি গাড়ির সঙ্গে ছিল ৪টি বাইক, সবকটি বাইকের নম্বর প্লেট স্থানীয় নম্বর প্লেট নয়, জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। রাত সোয়া ৯টা অর্থাৎ ৯ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে টেনে হিঁচড়ে ব্যবসায়ীকে বার করার ছবিও সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়েছে। ফ্ল্যাট থেকে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
স্বর্ণ ব্য়বসায়ীর খুনের ঘটনায়, পরিবারের দায়ের করা অভিযোগে নাম জড়িয়েছে বিডিও প্রশান্ত বর্মণের। ব্য়বসায়ীকে অপহরণ করে নিউটাউনের যে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ, সেখানকার ব্য়বসায়ীদের অনেকেই বিডিও-কে চেনেন বলে দাবি করেছেন। এই অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, তিনি চক্রান্তের শিকার। বুধবার প্রতিক্রিয়ার জন্য় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণকে একাধিকবার ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্য়াপ করা হলেও উত্তর দেননি।
স্বর্ণ ব্য়বসায়ীকে অপহরণ এবং খুন ! চাঞ্চল্য়কর এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগে নাম জড়িয়েছে এক BDO-র ! যা নিয়ে রহস্য় ক্রমেই বাড়ছে। নিউটাউনের যে জায়গা থেকে স্বর্ণ ব্য়বসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেখানকার ব্য়বসায়ীদের দাবি এবার এই ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করল। নিউটাউনের যে জায়গায় ব্য়বসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ, সেই এলাকার দোকানদাররা বিডিও প্রশান্ত বর্মণের ছবি দেখে দাবি করেন, তাঁকে তাঁরা চেনেন। আশপাশে যাঁদের দোকান রয়েছে, তাঁদের অনেকে প্রশান্ত বর্মণের ছবি দেখে দাবি করেন, ঘটনার দিন তিনিই এখানে এসেছিলেন। নিহত ব্য়বসায়ী স্বপন কামিল্য়া যে দোকান ভাড়া নিয়ে গয়নার ব্য়বসা করতেন, তার মালিকের দাবি, স্বর্ণ ব্য়বসায়ীর সঙ্গে তাঁকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেদিন কী ঘটেছিল, তা নিয়ে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছেন তিনি।






















