Duttapukur Incident : দত্তপুকুরকাণ্ডে মিলল মুণ্ডহীন দেহ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
Duttapukur Death Toll Rises: দত্তপুকুরকাণ্ডে ফের বাড়ল মৃতের সংখ্যা। এবার ওই বিস্ফোরণস্থলের থেকে কিছুটা দূরে পানা পুকুরের ভিতর থেকে মিলেছে মুণ্ডহীন দেহ।
উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Duttapukur Incident) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। বেআইনি বাজি কারবারি কেরামত আলির পর এবার মৃত্যু হল তার আরেক অংশীদার সামশুল আলির। গতকাল এই সামশুল আলির বাড়িতেই বিস্ফোরণ হয়। দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থল থেকে মিলেছে আরও একটি দেহ। বিস্ফোরণস্থলের থেকে কিছুটা দূরে পানা পুকুরের ভিতর থেকে মিলেছে মুণ্ডহীন দেহ। জলের ভিতর একটি পা বেরিয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে মৃতদেহের মাথাটি উদ্ধার হয়েছে আরও প্রায় ৫০ মিটার দূরে।
ভয়াবহ বিস্ফোরণের তীব্রতায় নিমেশের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, আস্ত দালান বাড়ি। ২০০ মিটার দূরে মিলেছে দেহাংশ। অনেকে বলছেন, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ১০ কিলোমিটার দূর থেকেও। শুধু মজুত বাজি বিস্ফোরণে কি এই তীব্রতা থাকা সম্ভব? তাহলে কি বাজির আড়ালে আরও শক্তিশালী কিছু তৈরি হত?
উল্লেখ্য ১৬ মে এগরায় বিস্ফোরণের কাণ্ডের পর ফের ২৭ অগাস্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল দত্তপুকুর। এগরার পর একই প্রশ্ন উঠল দত্তপুকুরেও। মোচপোলের যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই বাড়ির ৫০ মিটার পিছনে রয়েছে ২টি পুকুর ঘেরা বাঁশবাগান। সেখানেই ৭টি ঝুপড়ি রয়েছে। যেখানে আদতে বাজি তৈরি করা হত। সেই গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছে গিয়েছিল এবিপি।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, ঘটনার দিন সকালেও এখানে জোরকদমে কাজ চলছিল। বিস্ফোরণ হতেই, পালিয়ে যান এখানকার কর্মীরা। শুধু বাজির সরঞ্জাম বা অর্ধেক তৈরি হওয়া বাজি নয়।আশ্চর্যজনকভাবে এই সমস্ত ঝুপড়িতে মজুত রয়েছে স্টোনচিপও। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বাজি বানাতে স্টোনচিপ কেন?এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, এগুলি বোমের মশলা দিয়ে আলুবাজি তৈরি হয়। এই দশটা যদি একসঙ্গে বাঁধা যায়, একটা বোমা তৈরি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, বাজির আড়ালে কি আদতে বোমা তৈরি হত দত্তপুকুরে? NIA-তদন্তের দাবি Congress ও BJP-র
মহেশতলা, এগরা, বজবজের পর এবার দত্তপুকুর। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও অবধি ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকা। জগন্নাথপুর-নারায়ণপুর রাস্তার পাশে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি একতলা-দোতলা পাকা বাড়ি। তারই মধ্যে একটি একতলা বাড়িতে চলত বেআইনি বাজির কারখানা। হঠাৎ তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। উড়ে যায় একতলা বাড়িটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তার ২ পাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে কেঁপে ওঠে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের জেলা শহর বারাসতও।