Digha News: দিঘার সমুদ্রে ফের কলকাতার পর্যটকের মৃত্যু, একমাত্র সন্তানকে হারাল পরিবার
Tourist died in Digha: নুলিয়াকে খবর দিয়েও শেষ রক্ষা হল হল না। দিঘায় বেড়াতে এসে মৃত্যু পর্যটকের। জানা গিয়েছে, তিনি পরিবারের একমাত্র সন্তান।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘায় (Digha) বেড়াতে এসে পর্যটকের মৃত্যু (Tourist Death)। উল্লেখ্য, এর আগে তো বহুবার, শুধু বাইশ সালেই বাংলায় সমুদ্র স্নানে গিয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আর এবারেও ঘটে গেল অঘটন। একমাত্র সন্তানকে হারাল পরিবার। জানা গিয়েছে, মৃত পর্যটকের নাম কল্যাণ দাস (Kalyan Das)। বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি কলকাতার ৩২ কেপি রায় লেন থানা চারু মার্কেট এলাকায়।
নুলিয়াকে খবর দিয়েও শেষ রক্ষা হল হল না, কল্যাণ দাস পরিবারের একমাত্র সন্তান
জানা গিয়েছে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গতকাল দিঘায় বেড়াতে আসেন কল্যাণ দাস। আজ সকালে ওলড দিঘা সি হোক গোলার ঘাটে তখন অন্যান্য বন্ধুবান্ধবরাগাড়োয়ালের উপরে বসে ছিলেন। আর এমনই সময় কল্যাণ দাস একাই সমুদ্রস্নানে নেমে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাকে খুঁজে না পাওয়ায় পরিবার লোকজন মিলে খবর দেয় নুলিয়াকে। এরপর মুহূর্তেই দক্ষতার সঙ্গে নুলিয়া সমুদ্রের থেকে তুলে নিয়ে আসে তাঁকে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হৃদয়ে একটি স্পন্দনও নেই বাকি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জলে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা গিয়েছে, কল্যাণ দাস তাঁর পরিবারের একমাত্র সন্তান এবং তিনি অবিবাহিত।
সমুদ্র নেমে খেই হারিয়ে ফেলার ঘটনা বাইশ সালেই একাধিক,খালি হয়েছে অসংখ্য মায়ের কোল
আরও পড়ুন, 'বোরোলিন মেখে চলি', সেন্সর ইস্যুতে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
প্রসঙ্গত, বছর বছর দিঘায় ঘুরতে গিয়ে বাড়ি না ফেরার ঘটনা ভুরি-ভুরি। দুর্ঘটনা তো আছেই, তবে সমুদ্রে নেমে তলিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ঠেলে ফেলে দেওয়ার মতো ঝুরিঝুরি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। খালি হয়েছে অসংখ্য মায়ের কোল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘুরতে গিয়ে আবেগে টালমাটাল হয়ে সমুদ্র নেমে খেই হারিয়ে ফেলার ঘটনা বাইশ সালেই একাধিক। কলকাতা, বিধাননগর, নিউব্যারাকপুর-সহ একাধিক জায়গায় খারাপ খবর বয়ে এসেছে এই সুমদ্র ভ্রমণকে ঘিরেই। তবে সতর্কতা বা সচেতনার অভাবে মৃত্যুর ঘটনা যেমন একাধিক উদাহরণ রয়েছে, তারই সঙ্গে পরিকল্পনা করে, দিঘায় ঘুরতে গিয়ে হোটেলের ছাদ থেকে বন্ধুকে ঠেলে ফেলার মতোও নৃশংস ঘটনাও রয়েছে। তবে এহেন দুর্ঘটনায় যবনিকা পড়েনি এখনও। কোথায় গিয়ে থামবে এই মর্মান্তিক মৃত্যু, প্রশ্নটা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সব মা-বাবার বুকেই।