(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
East Midnapore : পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকায় ধস, নদীগর্ভে দোকান-ঘর
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটের রোগ। একইসঙ্গে বাড়ছে সাপে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা।
বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া : কিছুদিন আগেপর্যন্তও কংসাবতীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভাসে পাঁশকুড়া। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁধ। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। ফের একবার রবিবার গভীর রাতে পাঁশকুড়ার ডোমঘাটের ঝিকুড়িয়া গ্রামের কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকায় ধস নামে। বেশ কয়েকটি দোকানঘর নদীগর্ভে চলে যায়।
অন্যদিকে, জল নামতেই, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটের রোগ। একইসঙ্গে বাড়ছে সাপে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। নৌকো করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ। অনেককেই ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। গ্রামে গ্রামে বসেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। এছাড়া জলমগ্ন এলাকায় নৌকা করে গিয়ে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধু যে পেটের অসুখের সমস্যা, তা-ই নয়। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে সাপে কামড়ানো রোগীর সংখ্যাও। দুর্যোগের জেরে একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়ি। সেই সব বাড়ির ধ্বংসাবশেষ তুলতেই, বেরিয়ে আসছে সাপ, বিষাক্ত পোকা। এলাকায় প্রশাসনের তরফে ব্লিচিং পাওডার ছড়ানো হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের শেষে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যায় একটানা বৃষ্টির জেরে। কোথাও কোথাও প্রায় গল-সমান জল জমে যায়। এগরা দুই নম্বর ব্লক ছিল কার্যত জলের তলায়। পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের কাছে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে বিপত্তি বাধে। বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। এর জেরে পটাশপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বহু জায়গা প্লাবিত হয়। জল থইথই করে পটাশপুর বাজার। প্রায় ২০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয় প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে। পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকে কেলেঘাইয়ের ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে প্রশাসন। এদিকে কেন বাঁধ মেরামতিতে দেরি, এই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, 'এক গলা জলে মানুষ বাস করছে। আট-দশদিন পরে পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত সরকারের মনে পড়ল যে, এবার বাঁধটা সারানো জরুরি। কাটমানি খেতে খেতে তো একদিন নির্লজ্জতার বাতাবরণ অতিক্রম করার ইচ্ছা হবে !'