East Midnapore News: সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রেফতার নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা
অভিযোগকারী তিন তৃণমূল সদস্যের অভিযোগ, প্রধান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।বাড়ির আশপাশে বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রধানের অনুগামীরা।যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান-ঘনিষ্ঠরা।
বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন, ভাতা নেওয়া ও সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা। ধৃত শামসুল ইসলাম নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
গ্রেফতার নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা: অভিযোগকারী তিন তৃণমূল (Trinamool) সদস্যের অভিযোগ, প্রধান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়ির আশপাশে বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রধানের অনুগামীরা। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান-ঘনিষ্ঠরা। গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সকালে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দাউদপুরের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি করেও প্রধান হিসেবে বছরের পর বছর ভাতা নেওয়া ও সরকারি প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। বিডিও-র (BDO) অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রধানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রধান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল সদস্যদের দাবি, গতকাল রাতে থানায় আইসি রীতিমতো ডেকে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করেছে শামসুল ইসলামকে। তাঁদের অভিযোগ বিজেপিকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিজেপির হাতে এই পঞ্চায়েত তুলে দেব না।
এদিকে নদিয়ার দেবগ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ দলেরই এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে দেবগ্রাম থেকে বাইকে গহরাপোঁতা যাচ্ছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি মনারুল শেখ ও তৃণমূল কর্মী সৈয়দ আলি শেখ। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বাইক লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। দু’জনেই বাইক থেকে পড়ে যান। এরপর সৈয়দ আলি শেখকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দুজনকে প্রথমে দেবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তৃণমূলকর্মী সৈয়দ আলি শেখের। হামলার পিছনে রয়েছে দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মইনুদ্দিন শেখ, এই অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। কালীগঞ্জ থানার পুলিশ মইনুদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করেছে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গ্রাম্য বিবাদের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।