ED : রাজ্য়ে এসেছেন ED-র ডিরেক্টর, কালীঘাটের কাকু সংক্রান্ত তদন্তে আসবে কি কোনও বিশেষ মোড়?
সূত্রের খবর, তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে আজ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন ডিরেক্টর।

কলকাতা : পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি ( Recruitment Scam ) থেকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলা থেকে ব্য়াঙ্ক ফ্রড। ইডির হাতে থাকা একাধিক মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে, কী অগ্রগতি? কী স্টেটাস, সে সব ব্য়াপারে খোঁজখবর নিতে রাজ্য়ে এসেছেন ED-র ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্র।
আজ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শহরে এসেছেন তিনি। আজ সকাল ৯টা ৫৫-এ পৌঁছে সিজিও কমপ্লেক্সে। সূত্রের খবর, তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে আজ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন ডিরেক্টর। কোন পথে এগোবে তদন্তপ্রক্রিয়া, সূত্রের খবর, সে নিয়ে রূপরেখা ঠিক করে দেবেন তিনি। আগামীকালও বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
‘কালীঘাটের কাকু’কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডি-কর্তা ?
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন মোড় আনতে পারে, ‘কালীঘাটের কাকু’র গ্রেফতারি। এমনটাই মনে করছে ইডি। ঠিক সেই সময়ই শহরে এলেন ইডির প্রধানের আগমন ঘিরে উৎসাহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে কি ইডি-কর্তা নিজে কালীঘাটের কাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন? তাঁর আগমন ও কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারির মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি ইডি সূত্রে। তবে আপাতত জানা যাচ্ছে, ইডির হাতে থাকা মামলাগুলির কোনটায় কেমন অগ্রগতি হয়েছে, তা দেখতেই শহরে এসেছেন মিশ্র।
এই সঞ্জয় কুমার মিশ্রকেই গত নভেম্বরে নিয়ম বদলে তৃতীয়বারের জন্য ইডির মাথার উপর রাাখে কেন্দ্র। সঞ্জয়ের কাজ করার মেয়াদ ১ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। যার হাত ধরে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে বিশেষ মোড় আসতে পারে বলে মনে করাা হচ্ছে। ইডির দাবি, ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড, আর্কাইভ কনসালটেন্সি ও SD কনসালটেন্সি, তিনটি কোম্পানিরই নিয়ন্ত্রণ ছিল কালীঘাটের কাকুর হাতে। ED সূত্রে দাবি, জেরায় স্বীকার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আগেই এই সংস্থার ডিরেক্টররা দাবি করেছিলেন, কোম্পানির সবকিছু ঠিক করতেন কাকুই। তদন্তে উঠে এসেছে লেনদেন সংক্রান্ত আরও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। যেমন, কুন্তল ঘোষের অ্য়াকাউন্ট থেকে কাকুর অ্য়াকাউন্টে একবার ঢুকেছে ৫ লক্ষ টাকা। আবার ২ দিন পর তা ফেরত গেছে কুন্তলের কাছে। এই ট্র্য়ানস্য়াকশনের কারণ কী? ED সূত্রে দাবি, কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কাকু। শুধু তাই নয়, চাকরি বিক্রির ৭০ লক্ষ টাকা কোনও ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টের মাধ্য়মে নয়, সুজয়কৃষ্ণকে দেওয়া হয়েছিল নগদ। সেই টাকা কোন কাজে ব্য়বহার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ? কোথায় ইনভেস্ট করেছেন, তাঁর খোঁজ করছেন আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতিতে






















