ED Raid:বছর শেষে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড়বাজার ও ইএম বাইপাসে বেঙ্গল কেমিক্যালসের কাছে আবাসনে হানা ইডি-র
Recruitment Scam:বছর শেষে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের হানা ইডির। সাতসকালে বড়বাজার ও ইএম বাইপাসে বেঙ্গল কেমিক্যালসের কাছে আবাসনে হানা।
আবির দত্ত, কলকাতা: বছর শেষে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের হানা ইডির (ED Raid In Recruitment Scam)। সাতসকালে বড়বাজার ও ইএম বাইপাসে বেঙ্গল কেমিক্যালসের কাছে আবাসনে হানা। মণিকলা আবাসনের ১৬ ও ১৮ তলায় দুই ব্যবসায়ীর দুটি ফ্ল্যাটে হানা কেন্দ্রীয় এজেন্সির। বড়বাজারেও নেতাজি সুভাষ রোডে একটি অফিসে হানা।
কী হল?
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বড়বাজারের ৭৭ নম্বর নেতাজি সুভাষ রোডে পাঁচতলা বাড়ির চারতলায় একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসেও হানা দিয়েছে ED। পাশাপাশি, সকাল ৭টায় আলিপুরে ৯বি আলিপুর পার্ক লেনের বেল এয়ার সাউথ সিটি আবাসনের চারতলায় আরেক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও অভিযান চলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির। সকাল ৯টায় আবার গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ১৩ নম্বর ইম্পিরিয়াল হাউসেও হানা দেয় ED।
সকাল ৭টায় ইএম বাইপাসের কাদাপাড়ায় অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সেখানে চার্টার্ড অ্য়াকাউন্ট্যান্ট প্রভুদয়ার র্যান্ডারের ১০টি কোম্পানি রয়েছে। সরকারি ভাবে এখনও এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি ঠিকই। তবে সূত্র মারফৎ যা জানা যাচ্ছে, তা শোনা যাচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই কলকাতার ৯টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চলছে আজ। এর মধ্যে মানিকতলায় যে আবাসনে ইডি আধিকারিকরা এসেছেন, তার দুটি বিল্ডিংয়ে তল্লাশি চালানো হয় বলে খবর। সুবোধ সাচার এবং অশোক ইয়াধুকা নামে দু'জনের ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ওই দুই ব্যক্তির একজন অভিযানের সময় ঘরে ছিলেন না, মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পৌঁছন। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়াও চলে বলে খবর। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনও ভাবে এই দু'জনও লাভবান হয়েছেন কিনা, জানতেই আজকের তল্লাশি। নিরাপত্তার জন্য মহিলা সিআরপিএফ অফিসারদেরও নিয়ে আসা হয় এদিন। ইডি অফিসারদেরও মধ্যেও মহিলারা ছিলেন বলে খবর।
বড়বাজারের ছবি...
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপস্থিতিতে এখানকার একটি অফিসে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সার্চ ওয়ারেন্টও ছিল তাঁদের কাছে। কিন্তু যে অফিসে তাঁরা হানা দিয়েছেন, সেটা সকাল ৯টায় খোলে। ফলে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের অফিসের বাইরের থাকতে হয়। তবে সূত্রের খবর, অফিসের কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ইডি আধিকারিকদের। যেহেতু অফিসের কর্তাব্যক্তিরা বেশ কিছুটা দূরে থাকেন, ফলে তাঁদের আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সব মিলিয়ে বর্ষশেষেও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জারি ইডির হানা।
আরও পড়ুন:নতুন বছরে বন্ধ হবে রেশন পরিষেবা? চরম সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহকরা