ED Raid: রাজ্যের ১৪ জায়গায় ED-র ম্যারাথন তল্লাশিতে ২ হাজার পাতার নথি উদ্ধার
ED Raid In Bengal: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। রাজ্যের ১৪টি জায়গায় ইডির ম্যারাথন তল্লাশিতে উঠে এল কী কী ?
কলকাতা: ২৪ ঘণ্টা পার। সূত্র মারফত খবর, গতকাল রাজ্যের ১৪টি জায়গায় ইডির ম্যারাথন তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২ হাজার পাতার নথি। উদ্ধার করা হয়েছে ১৫টির বেশি মোবাইল ফোন, একাধিক ল্যাপটপ। খাদ্যমন্ত্রীর ( Rathin Ghosh) বাড়ি থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ফোন-ল্যাপটপ। বাজেয়াপ্ত সমস্ত মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে ইডি (ED)। তদন্ত শুরুর পর মোবাইল-ল্যাপটপ থেকে কোনও তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে কি না, সেদিকে নজর ইডি-র।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। গতকাল সাতসকালেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের মাইকেল নগরে বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চলেছে। রাজ্যজুড়ে ১২টি জায়গায় একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান ও পুর আধিকারিকদের বাড়িতেও চলেছে তল্লাশি। রথীন ঘোষের পাশাপাশি, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তর বাড়িতেও চলে তল্লাশি।
গতকাল সকাল ৬টা নাগাদ খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ED। মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। ED-র দাবি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোনের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে রথীন ঘোষের নাম বারবার উঠে এসেছে। ২০১৪-২০১৮ পর্যন্ত পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে ? কীভাবে পৌঁছেছে ? সেই মানি ট্রেল খুঁজে বের করাই মূলত ED-র উদ্দেশ্য। মূলত গতপরশু রাত ৩টে নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে নেওয়া হয় ED-র অফিসারদের। ৮০ জন ED অফিসারকে একাধিক দলে ভাগ করে ভোর থেকে শুরু হয় ম্যারাথন তল্লাশি।
আরও পড়ুন, শিলাবতীর জল বেড়ে ঘাটালের একাধিক এলাকা প্লাবিত, ভোগান্তির মুখে আরও কারা ?
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত মালে উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের তলব করা হয়। সূত্রের খবর, বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম-সহ যে সমস্ত পুরসভায় এর আগে সিবিআই অভিযান চালিয়েছিল, সেই সমস্ত পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মূলত ২০১৪ সালের পর থেকে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে, তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ঠিক হয়। কোন কোন পদে নিয়োগ হয়েছে, কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে, কারও নির্দেশে নিয়োগ হয়েছিল কি না এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন প্রস্তুত করে ইডি।