Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডলের ২ হিসাব রক্ষককে তলব ED-র
Enforcement Directorate: ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তাপস মণ্ডল দাবি করেন, নগদ টাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে পাঠানো হত। পর্ষদের লোক এসে তা নিয়ে যেত।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) দুই হিসাব রক্ষককে এবার তলব করল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষক গৌতম দাস ও তাপস মিশ্র মূলত সল্টলেকের মহিষবাথানের অফিসে বসতেন। তাঁরাই নগদ টাকার লেনদেন করতেন বলে ইডি সূত্রে দাবি। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তাপস মণ্ডল দাবি করেন, নগদ টাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে পাঠানো হত। পর্ষদের লোক এসে তা নিয়ে যেত। তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হবে, মহিষবাথানের অফিসে কারা টাকা নিতে আসতেন, পর্ষদের অফিসে কাদের টাকা পাঠানো হত। খবর ইডি সূত্রে।
গত ৩ নভেম্বর তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় সুরবদল করেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। মানিক ভট্টাচার্য নয়, টাকা পাঠানো হত বোর্ডকে, এবার এমনটাই দাবি করেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।
কী দাবি করেছিলেন তিনি?
- ‘ডিএলএড কলেজে ভর্তির লেট ফাইন হিসেবে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়’
- ‘আমার অফিস থেকে টাকা যেত বোর্ডের কাছে’
- ‘৩০০ টাকা অনলাইনের ফি, তার সঙ্গে যোগ করা হত ৪ হাজার ৭০০ টাকা’
- ‘টাকা নেওয়ার পর কী হয়েছিল জানেন মানিক ভট্টাচার্য’
- ‘যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানিক ভট্টাচার্যই নিয়েছেন’
- ‘অনলাইন ক্লাসের জন্য চুক্তি হয় এডুক্লাসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে’
- ‘অনলাইন ক্লাসের জন্য পড়ুয়াপিছু ৫০০ টাকার চুক্তি হয়’
- ‘নিয়ম ভেঙেছে কিনা সেটা জানে বোর্ড’
ফের ইডি-র দফতরে হাজিরার আগে মন্তব্য তাপস মণ্ডলের
বুধবার ED’র দফতরে ঢোকার সময় বলেছিলেন, অফলাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য টাকা নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। আর, বৃহস্পতিবার ফের ED’র দফতরে হাজিরা দিতে এসে বললেন, টাকা দেওয়া হত বোর্ডকে। চতুর্থবার ED’র দফতরে হাজিরা দিতে এসে বুধবার সকালে বোমাটা ফাটান ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)।