Alipurduar News:সঙ্কোশ নদীর জলে হাতির দাঁতহীন কাটা মুণ্ড, অসমের চোরকারবারিদের কীর্তি, ধারণা বন দফতরের
Elephant Head Found:হাতির দাঁতহীন মুণ্ড উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য অসম-বাংলা সীমান্তের ভলকা-বরোবিশা এলাকায়। শুক্রবার সঙ্কোশ নদীর জলে ভেসে আসে মুণ্ডটি

অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: হাতির দাঁতহীন মুণ্ড (Elephant Head Recovery) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য অসম-বাংলা সীমান্তের ভলকা-বরোবিশা এলাকায় (Alipurduar)। শুক্রবার সঙ্কোশ নদীর জলে ভেসে আসে মুণ্ডটি। অসমের চোরাকারবারিদের হাতেই এমন ঘটনা, প্রাথমিক ধারণা বন দফতরের। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কী জানা গেল?
বন দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভলকা বিট অফিসে এই খবর আসে। বনকর্মীরা দ্রুত অসম-বাংলা সীমান্তের ভলকা-বারোবিশা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্কোশ নদীর চরে পৌঁছে যান। দেখা যায়, বক্সার গভীর জঙ্গল সংলগ্ন নদীর চরে পড়ে রয়েছে হাতির কাটা মুণ্ড। খবর ছড়িয়ে পড়তেই জড়ো হয়ে যান প্রচুর মানুষ। এর পর, হাতির মাথাটি প্লাস্টিকে মুড়িয়ে নদী পার করে উদ্ধার করে আনেন বনকর্মীরা। বন দফতরের প্রাথমিক ধারণা, অসমের দাঁত চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িতরাই পুরুষ হাতিটির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁরা আরও মনে করছেন, অসমের জঙ্গলে এমন কাণ্ডের পরই সঙ্কোশ নদীর হাতির মুণ্ড ভেসে আসে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (পূর্ব) বিভাগের উপক্ষেত্র অধিকর্তা দেবাশিস শর্মা বলেন, 'ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। অসম বনবিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত বিষয়।' তবে ঘটনাটি যে অসমেরই, সে ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে তাঁরা নিশ্চিত, জানান বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পূর্ব বিভাগের উপক্ষেত্র অধিকর্তা। হাতির দাঁতের উপর যে চোরাচালানকারীদের বড় অংশের নজর থাকে, তা কোনও অজানা ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যে এই ধরনের সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এই রাজ্যে। যেমন, সাড়ে তিন বছর আগে মালবাজারে একটি ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার হাতির দাঁত, সঙ্গে গন্ডারের শিং...
সে বারের ঘটনায় হাতির দাঁতের পাশাপাশি গন্ডারের শিং-ও উদ্ধার হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মূল্য ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সামগ্রী পাচার হওয়ার আগেই রুখে দেয় বন দফতর। জানা যায়, জলপাইগুড়ির মালবাজার এলাকা দিয়ে সিকিমে পাচার হবে হাতির দাঁত ও গন্ডারের শিং। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে শুরু হয় নজরদারি। মালবাজার শহরে ঢোকার সময় দুটি গাড়িকে চিহ্নিত করা হয়। একটি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় আরোহীরা। দ্বিতীয় গাড়িটিকে ধরে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁদের দাবি, গাড়ি থেকে হাতির দাঁত ও গন্ডারের শিং উদ্ধারের পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর ভুয়ো নথি। গ্রেফতার করা হয় তিন পাচারকারীকে। বন দফতর সূত্রে খবর মিলেছিল, উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁত ও গন্ডারের শিং অসমের জঙ্গল থেকে এনে ভুটান দিয়ে সিকিমে পাচারের ছক ছিল। ধৃতরা আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান ছিল বন দফতরের।
কিন্তু এভাবে দাঁত হীন কাটা মুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় চমকে দিয়েছে পোড়খাওয়া বন দফতরের আধিকারিকদেরও।
আরও পড়ুন:চাঁদের আরও কাছাকাছি চন্দ্রযান-৩, কক্ষে প্রবেশ কালই






















