Sujay Krishna Bhadra : 'কালীঘাটের কাকু'-র বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিট ইডি-র !
Charge Sheet by ED : ৭ হাজার ৬০০ পাতার ডকুমেন্টেড এভিডেন্স অর্থাৎ নথি জমা পড়েছে। এদিন ট্রাঙ্কে করে নথি নিয়ে আসা হয়
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Sujay Krishna Bhadra) বিরুদ্ধে এবার চার্জশিট জমা দিল ইডি (Enforcement Directorate)। গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১২৬ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। নিয়োগ দুর্নীতিতে মিলেছে ২০ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ, দাবি তদন্তকারী সংস্থার। চার্জশিটে নাম রয়েছে ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড এবং এসডি কনসালটেন্সির। সাড়ে ৭ হাজার পাতার তথ্য প্রমাণ ও নথি জমা দেওয়া হয়েছে চার্জশিটের সঙ্গে।
এদিন ট্রাঙ্কে করে নথি নিয়ে আসা হয়। সেই ট্রাঙ্ক ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ইডি-র স্পেশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা পড়েছে। নাম রয়েছে- সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। তাঁর নিয়ন্ত্রত আর একটি কোম্পানি ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড। একাধিকবার এই কোম্পানির নাম শোনা গেছে। ইডি-র অভিযোগ, কালো টাকা সাদা করা হয়েছে এই কোম্পানির মাধ্যমে। আর একটি কোম্পানি এসডি কনসালটেন্সির নাম রয়েছে। অর্থাৎ, দুটো কোম্পানি এবং কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে এই চার্জশিট হয়েছে। প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারায় চার্জশিট জমা পড়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, এই চার্জশিটে ২০ কোটি টাকার উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতির ২০ কোটি টাকা কাকুর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, বা লেনদেন হয়েছে বা কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। বিস্তারিত এই তথ্য নথি সহ চার্জশিটের সঙ্গে জমা পড়েছে। ইডি সূত্রে আরও খবর, এই চার্জশিটে একাধিক ব্যক্তি, এজেন্টের নাম রয়েছে যাঁদের মাধ্যমে টাকা আসত। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, কীভাবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মানিক ভট্টাচার্যের কাছে বারবার যেতেন, কার নির্দেশে যেতেন বা কী উদ্দেশ্য ছিল।
আরও পড়ুন ; পার্থর বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ পঞ্চবাণ ! আদালতে বাছা বাছা যুক্তি দিল ইডি
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। নিম্ন আদালতের গতকালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান তিনি। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা এবং অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান আদালতে। গতকাল নিম্ন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, চিকিৎসা করাতে হবে এসএসকেএম হাসপাতালেই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। এনিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামী সপ্তাহে এর শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন