Hilsa Fish from Bangladesh: পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আরও ৫ ট্রাক ইলিশ ঢুকল ভারতে, বন্ধুত্বের বার্তা বাংলাদেশের
India-Bangladesh Relations: পরবর্তীতে আরও পাঁচটি ট্রাকে ২৫ টন ইলিশ ঢুকেছে বলে পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে খবর।

সমীরণ পাল, পেট্রাপোল : বাঙালির প্রিয় বলে কথা। আর উৎসবের মরশুমেই ইলিশ-সুখবর।
দুর্গাপুজোর আগে ইলিশ উপহার বাংলাদেশের। পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার এবং পেট্রাপোল বন্দরের এলপিএআই ম্যানেজার ইলিশের পেটি খুলে ইলিশ দেখালেন। গতকাল রাতে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে করে বারো টন ইলিশ ঢুকেছিল ভারতে। পরবর্তীতে আরও পাঁচটি ট্রাকে ২৫ টন ইলিশ ঢুকেছে বলে পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে খবর।
বুধবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন বাজারে ইলিশ পৌঁছে যাবে। এদিন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বার্তা দেওয়ার জন্য কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান পেট্রাপোল বন্দরে হাজির হন। যদিও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দিতে চাননি বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ম্যানেজার কমলেশ সাইনি।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ১২০০ মেট্রিকটন ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৩৭টি সংস্থাকে। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত রফতানির বরাত দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্য রাতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসে পৌঁছায় তিন ট্রাক ইলিশ মাছ। প্রতিটি ট্রাকে ৪ টন করে ইলিশ মাছ ছিল। একটি একটি ট্রাকে এক কিলো থেকে দেড় কিলো ওজনের পদ্মার ইলিশ মাছ এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কাস্টম ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট । বাজার অনুযায়ী দাম নির্ভর করবে।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পুজোর আগে পদ্মার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই রীতি বজায় রয়েছে আজও। সেই অনুযায়ী পুজোর আগে এক মাসের মধ্যে গড়ে ২,০০০ থেকে ২২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিত বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক। প্রতিবছর এই রফতানি চলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। গত বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ক্ষমতা দখল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরই ওই দেশে ভারত বিরোধী আন্দোলনের জেরে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গত বছর ফিস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ইলিশ আমদানির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। অনেক অনুরোধের ভিত্তিতে ওই দেশের সরকার ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়। কিন্তু এক মাস সময়সীমার মধ্যেই এপারের মাছ ব্যবসায়ীরা মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন মাছ আমদানি করতে পেরেছিলেন।






















