Recruitment Scam: 'দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম', বিস্ফোরক অভিযুক্ত গোপাল রায়
SSC Scam: চাকরিচ্যুত কৌশিক মণ্ডলের ভাইয়ের বউ রিমা পোড়েল মণ্ডল বলেন, 'গোপাল রায় জেলা পরিষদের সদস্য, তাঁকে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।'
সমীরণ পাল, কলকাতা: টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে, হুগলিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেটওয়ার্কের কথা আগেই সামনে এসেছে। এবার সামনে এল হুগলি জেলা পরিষদের আরেক কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা গোপাল রায়ের নাম। চাকরি পেতে তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে, দাবি করলেন চাকরিচ্যুতের পরিবার। তাঁর অজান্তেই শান্তনু কাগজে সই করিয়েছিলেন। দাবি করলেন তৃণমূল কর্মী রাকেশ।
বলাগড় থেকে পুরশুড়া, অভিযোগ, হুগলি জুড়েই নিয়োগ দু্র্নীতির জাল ছড়িয়েছিলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একদিকে যখন ED-র হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি, স্কুলে গ্রুপ ডি-র চাকরি গেছে ১ হাজার ৯১১ জনের। এবার সেই সমস্ত চাকরিচ্যুতদের পরিজনরাই মুখ খুললেন টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া নিয়ে। পুরশুড়ার রসিকচক গ্রামের বাসিন্দা কৌশিক মণ্ডল, মুক্তারপুর হাইস্কুলের গ্রুপ-ডির কর্মী ছিলেন হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে।
চাকরিচ্যুতদের তালিকায় ৭৫ নম্বরে নাম রয়েছে কৌশিকের। তাঁর পরিবার আঙুল তুলেছেন আরেক তৃণমূল নেতার দিকে। তিনি হলেন - হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়। চাকরিচ্যুত কৌশিক মণ্ডলের ভাইয়ের বউ রিমা পোড়েল মণ্ডল বলেন, 'গোপাল রায় জেলা পরিষদের সদস্য, তাঁকে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।'
কৌশিকের গ্রামেই থাকেন অসীম মণ্ডল। তিনিও গ্রুপ ডি-র চাকরি হারিয়েছেন। চাকরিচ্যুতদের তালিকায় ২০ নম্বরে নাম রয়েছে অসীমের।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন, তৃণমূল নেতা গোপাল রায়। তিনি বলেন, 'পুরোটাই চক্রান্ত, আমি টাকা নিইনি। ২০১৮ সালে আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম, এখানে রেকেট চলছে, সেটা জানিয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতে কর্মসূত্রে পরিচয়, চাকরিও ছাড়েন পর পর, অয়ন কি শুধুই শ্বেতার পরিচিত!
একাধিক সংস্থায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে পুরশুড়ার তৃণমূল কর্মী রাকেশ মণ্ডলের। তৃণমূল কর্মী রাকেশ ধনেখালি ব্লক অফিসের যুব দফতরের ঠিকা কর্মী। পাশাপাশি বালি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।
রাকেশ মণ্ডল বলেন, 'শান্তনুকে চিনতাম, রিসোর্ট জানতাম, তবে এত প্রোপারটি জানতাম না, দুটো পেপারে সাইন করায় কিছু দিনের ব্যবধানে, সেই কাগজের একদিকে প্রিয়ঙ্কা ও অন্যদিকে আমাকে সই করায়, তখন জানতাম না, এখন বুঝতে পারছি। ইভান্সের নামে সংস্থা। এত গতিবিধি জানা ছিল না। শান্তনু দা-র ব্যবসা আমি দেখতাম না, তবে যেতাম।'
দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও, এখনও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদে রয়েছেন শান্তনু। এবার আরেক কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়ের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন চাকরিচ্যুতদের পরিবার।