Governor Bose Signs Bills: একই দিনে জিএসটি বিল, মন্ত্রী বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধি বিলে সই রাজ্যপালের
GST Bill And Salary Revision Bill: একই দিনে জোড়া বিলে সই করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আজ, জিএসটি বিল এবং মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিলে সই করলেন তিনি।
রুমা পাল, কলকাতা: একই দিনে জোড়া বিলে সই করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor Bose Signs Double Bill)। আজ, জিএসটি বিল (Governor Signs GST Bill) এবং মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির (Governor Signs MLA And Minister Salary Revision Bill) বিলে সই করলেন তিনি। সোমবার একদিনের বিশেষ অধিবেশনে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিল পেশ করেছিল রাজ্য। রাজ্যপালের সই ছাড়াই অর্থ বিল বিধানসভায় পেশ করলেও পাস করাতে পারেনি সরকার। রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়াই বেআইনি ভাবে বিল এনেছে সরকার, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। অবশেষে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিলে সই করলেন রাজ্যপাল।
কী জানা গেল?
কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক রাজ্যকে জিএসটি বিল লাগু করতে হবে। সেই বিলেই এদিন সই দিলেন রাজ্যপাল বোস। অন্য দিকে, মন্ত্রী বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনেও পাশ করানো যায়নি। কারণ তত ক্ষণ পর্যন্ত তাতে সই দেননি রাজ্যপাল বোস। এমনকি এই নিয়েই গত কাল, সোমবার বিক্ষোভ বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।
বিজেপির বিক্ষোভ...
একদিনের অধিবেশন। চলল মিনিট পাঁচেক। সোমবার তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা। গত কাল, বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। যা চলে পাঁচ মিনিট। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বেতন সংক্রান্ত সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত করেন। এরপরই এক প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্য়ুর কারণে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তবে রাজ্য়পাল যে বিলে সই করেননি, তা কীভাবে বিধানসভায় আনা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেনদু অধিকারী সেই প্রশ্ন তোলেন। তত ক্ষণে স্পিকার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। ফাঁকা বিধানসভাতেই ১০ মিনিট বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের চেয়ারের সামনে কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন শুভেন্দু অধিকারীরা। বিজেপির দাবি খারিজ করে স্পিকার জানান, যা হয়েছে সবটাই নিয়ম মেনে। শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, 'বিজেপির বিধায়করা ২ মাস ভাতা বৃদ্ধি, বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আগ্রহী নয়। তারা আগ্রহী। তৃণমূল মানে চোর। তৃণমূল মানে, একমাত্র এজেন্ডা টাকা তোলা, টাকা আদায় করা। এখন অবৈধ টাকাতে ED, CBI, ইনকাম ট্য়াক্স কিছুটা আটকে দিয়েছে। তাই বৈধভাবে ট্য়াক্সের টাকা নিয়ে যাবে এখান থেকে। বেআইনি হাউস এটা করেছে। ইন্ট্রোডাকশন হয় না। এই বিল প্লেস করা যায় না, রাজ্য়পাল মহোদয়ের সম্মতি নেই। পুরোপুরি বেআইনি এবং এটা হয়েছে স্পিকারের বুদ্ধিতে নয়, BA কমিটির বুদ্ধিতে নয়, মমতা ব্য়ানার্জির উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত।' পাল্টা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, '১৩ তারিখে আমি ফাইল তুলেছিলাম। রাজ্য়পালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। গতকাল ববি রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু, রাজ্য়পাল কী কারণে সই করেননি, বলেননি। কিন্তু, সই করেননি। ... তিনি সংবিধান মোতাবেক চলছেন না। সংবিধানে তাঁর যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তাঁর বাইরে গিয়ে তিনি কাজ করার চেষ্টা করছেন। যেটা অভিপ্রেত নয়।' এদিন রাজ্যপাল সেই বিলে সই দেওয়ার সব জটিলতার অবসান হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন:মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, এভাবে দেখতে হবে স্ত্রীকে ! ভাবেননি বেলুড়ের অক্ষয় পাল