GB Syndrome: নতুন ত্রাস গিয়ান ব্যারে সিনড্রোম, আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা, বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
Guillain-Barre Syndrome: স্নায়ুর বিরল রোগ এই গিয়ান ব্যারে সিনড্রোম। এর জেরে স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়। পেশী অসাড় হয়ে পড়ে। প্যারালাইসিস অর্থাৎ শরীরে দেখা দেয় পক্ষাঘাত। রোগীর মুখ বেঁকে যেতে পারে।

GB Syndrome: গিয়ান ব্যারে সিনড্রোম বা জিবি সিনড্রোম, ক্রমশ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। পুণের পর কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় এই রোগে আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ২৬ জানুয়ারি থেকে মাত্র চারদিনের মধ্যে এ রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছে তিনজনের। ২০০০ কিলোমিটার দূরে পুণেতে অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর। ৯ জানুয়ারি থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১১১ জন। ভেন্টিলেশনে রয়েছে অনেকেই। একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। স্নায়ুর বিরল রোগ এই গিয়ান ব্যারে সিনড্রোম। এর জেরে স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়। পেশী অসাড় হয়ে পড়ে। প্যারালাইসিস অর্থাৎ শরীরে দেখা দেয় পক্ষাঘাত। রোগীর মুখ বেঁকে যেতে পারে। হাঁটাচলা, কথা বলার ক্ষমতা থাকে না অনেক সময়েই। ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বিরল এই স্নায়বিক রোগ।
গিয়ান ব্যারে সিনড্রোমে আক্রান্ত হলে কী কী করণীয়, তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছিল 'ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন' অনুষ্ঠানে। সঞ্চালক সুমন দে (সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট)- এর সঙ্গে এই আলোচনায় কীভাবে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, সেই প্রসঙ্গে কী কী বললেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর জয়দেব রায়, দেখে নিন।
এই রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যত দ্রুত রোগ ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা হবে, তত ভাল। আর এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। তাহলেই সুস্থ হয়ে উঠবেন রোগী। - এমনটাই বলছেন ডক্টর রায়।
ডক্টর জয়দেব রায়ের কথায়, যে হাসপাতালে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নেই এমন জায়গায় শিশুকে ভর্তি করা ঠিক নয়। এমন নয় যে সকলকেই ভেন্টিলেশনে রাখতে হবে। কিন্তু বন্দোবস্ত থাকা হাসপাতালে বাচ্চাকে মনিটরে রাখাই ভাল। এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে শিশুর কী রোগ হয়েছে। এর জন্য নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট করতে হবে। এটা তেমন খরচসাপেক্ষ নয় এবং প্রায় সব জায়গাতেই উপলব্ধ। বাচ্চা হোক বয়স্ক, যে আক্রান্ত তার 'কেস হিস্ট্রি' দেখতে হবে। মানে এর আগে সে ডায়রিয়া, ভাইরাল ইনফেকশন এইসবে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্যারালিসিস হয়েছে কিনা সেটাও দেখা জরুরি। তারপর টেস্ট করে নিশ্চিত হতে হবে রোগের ব্যাপারে। বাচ্চার শরীর খারাপ হলে বাবা-মায়ের যদি সামান্যও সন্দেহ হয় তাহলেও ডাক্তারের কাছে যান। সচেতনতা খুব জরুরি। ডাক্তারেরও যদি রোগীকে দেখে সন্দেহ জাগে তাহলেও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। কাউকে আতঙ্কিত করছি না। কিন্তু সচেতনতা দরকার সবার আগে। তাহলেই দ্রুত রোগ ধরা পড়বে, চিকিৎসা হবে।






















