Chandannagar Bank Employee Death: স্ত্রী বেরিয়ে যেতেই চরম সিদ্ধান্ত! চন্দননগরে স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
Hooghly News: চুঁচুড়া খাদিনা মোড় SBI ব্রাঞ্চের কর্মী ছিলেন সৌমেন দে। থাকতেন চন্দননগর রথের সড়কের একটি অভিজাত বহুতলে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি চন্দননগর বৈদ্যপোতায়।

সৌরভ বন্দ্য়োপাধ্যায়, হুগলি: চন্দননগরে স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য। আত্মহত্যা বলে সন্দেহ পুলিশের। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মৃত ব্যাঙ্ক কর্মী সৌমেন দে (৩৯) বহুতল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দেহ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
চুঁচুড়া খাদিনা মোড় SBI ব্রাঞ্চের কর্মী ছিলেন সৌমেন দে। থাকতেন চন্দননগর রথের সড়কের একটি অভিজাত বহুতলে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি চন্দননগর বৈদ্যপোতায়। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার বছর দুয়েক পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সৌমেন। তারপর বহুতলে ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানেই স্বামী স্ত্রী দুজনে থাকতেন। এদিন সকালে তাঁর স্ত্রী বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে বেরিয়ে যান কলকাতায়। যাওয়ার আগে খাওয়াদাওয়াও করেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান, স্ত্রী বেরিয়ে যেতেই আটতলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মারেন সৌমেন। শব্দ পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা।
চন্দননগর পুরো নিগমের সিপিআইএম কাউন্সিলর অশোক গঙ্গোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আবাসন থেকে একজন ঝাঁপ দিয়েছে শুনে আমি আসি। উনি একজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারী ছিলেন। ফ্ল্যাটে তখন একাই ছিলেন। ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের লবি থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে জানা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ব্যাঙ্ক কর্মীর মাসতুতো দাদা শোভন শীল বলেন, মাসি ফোন করে জানায় ভাইয়ের দুর্ঘটনা হয়েছে। কী করে হল, কেন হল জানি না। রথের সড়কের আবাসনে ভাই আর তাঁর স্ত্রী থাকত। আজকে অফিসে যাওয়ার আগে এটা হয়েছে। আমি শুনেছি দুর্ঘটনা হয়েছে হাসপাতালে এসে শুনি পড়ে গেছে। পারিবারিক কোনও সমস্যা মানসিক অবসাদ ছিল কি না তা বলতে পারব না।'' পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
এদিকে বেহালার বকুলতলায় মৃত্যু ঘিরে রহস্য। বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অগ্নিদগ্ধ দেহ। মৃতের নাম সর্বাণী পাল। পর্ণশ্রী থানা এলাকার বকুলতলায় দোতলা বাড়িতে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। ছেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কর্মসূত্রে তিনি আমেরিকায় থাকেন। পরিবারের দাবি, নানারকম রোগে ভুগছিলেন ৬৯ বছরের বৃদ্ধা ও তাঁর স্বামী। গতকাল রাতে বাড়ির একতলায় ছিলেন স্বামী। তিনিই এদিন সকালে দোতলায় স্ত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পান। একাকীত্ব থেকে ডিপ্রেসনের কারণে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।






















