Chandannagar: পোর্টেবল জ্যামার ব্যবহার করে চন্দননগরে ডাকাতি, তদন্তে অনুমান পুলিশের
স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার ডাকাতিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর: পোর্টেবল জ্যামার ব্যবহার করে চন্দননগরে ডাকাতি। স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার ডাকাতিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ডাকাতির সময় মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে জ্যামার। কেউ যাতে কোনও ফোন না করতে পারে, তার জন্য জ্যামার।৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬৩ রাউন্ড গুলি-সহ ৩ ডাকাত পাকড়াও। আসানসোলে ডাকাতির ঘটনাতেও একই গ্যাং। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় ধৃত ৩জনই বিহারের বাসিন্দা, একজন পলাতক।
মঙ্গলবার চন্দননগরে স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার অফিসে ডাকাতির খবর পেতেই ছুটে গিয়েছিল পুলিশ। তন্ন তন্ন করে চলে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে ছিলেন ডিসি চন্দননগরও।পুলিশের দাবি, সেখান থেকে বারবার চেষ্টা করেও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ডিসি চন্দননগর ভিদিত রাজ বুন্দেশ।
আরও পড়ুন: Birbhum: দুবরাজপুর-খয়রাশোলের রাস্তাজুড়ে মরণফাঁদ, বিপজজ্জনক সড়ক নিয়ে ক্ষোভ যাত্রীদের
চার দুষ্কৃতীর মধ্যে তিনজন ধরা পড়লেও, প্রথমে এই রহস্যের কিনারা হচ্ছিল না। অবশেষে হল পর্দাফাঁস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি জ্যামারও। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, এদের সঙ্গে পোর্টেবল জ্যামার ছিল, তার ফলে কোনওরকম মোবাইল কমিউনিকেশন হচ্ছিল না। ডিসি চন্দননগর যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে যাচ্ছিলেন, তখন কোনও হোয়াটসঅ্যাপ, ভয়েসকল আসছিল না। পরে জানা গেল জ্যামার অন ছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি ও এদের কাছ থেকে একটি পাওয়া গেছে।
নিরাপত্তার কারণে VVIP-দের কনভয়ে জ্যামার থাকে। একই কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার করা হয় জ্যমার। তাই বলে ডাকাতি করতে জ্যামার। শুনেই চমকে উঠছেন অনেকে। কী ভাবে কাজ করে পোর্টেবল জ্যামার? তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের যে টেলিকম লাইন রয়েছে, জ্যামার সেটাকে লাগাতার অ্যাটাক করে ডিসি করে দেয়। ফোন হয়ত কাজ করবে, কিন্তু দেখবেন হয়ত টাওয়ার নেই। হাতেও বানানো যায়। অনেক ই-কমার্সেও ব্যবহার হচ্ছে। গুলগে সার্চ করলেও পাওয়া যাচ্ছে। ১০ হাজার দাম। তবে প্র্যাক্টিকাল ইন্ট্রিমেন্ট প্রথম দেখলাম। তবে বানানো হয়েছে, নাকি কেনা হয়েছে, সেটা দেখা দরকার।
কিন্তু দুষ্কৃতীরা জ্যামার পেয়েছিল কোথা থেকে? অনলাইনে কেনা হয়েছিল? না কি নিজেরা বানিয়েছে? ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, ধৃত তিনজন বিহারের বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র।৬২ রাউন্ড গুলি।ডাকাতি হওয়া দেড় লক্ষ নগদ ও কিছু সোনার গয়না। দুটি মোটরবাইক উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের আবহেই বঙ্গে ভোট, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ