Hooghly News: পারিবারিক অশান্তি? বৃদ্ধকে মাথা থেঁতলে খুন, আটক অভিযুক্ত মেয়ে
Hooghly Crime News: মৃতের মেয়ের স্বীকারোক্তি, বাবা বার বার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলতেন, তাই রাগের মাথায় খুন করেছেন তাঁকে। আটক অভিযুক্ত।অশীতিপর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে বাড়ি সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হুগলির উত্তরপাড়ায় এক ব্যক্তির মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ। মৃতের মেয়ের স্বীকারোক্তি, বাবা বার বার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলতেন, তাই রাগের মাথায় খুন করেছেন তাঁকে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তকে। অশীতিপর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে বাড়ি সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
মৃতের মেয়ে ও অভিযুক্ত কেয়া দাস কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, বাঁশ নিয়ে আমার বাপি আমাকে তেড়ে এসেছে, তখন আমি হাত থেকে বাঁশ কেড়ে নিয়ে মেরেছি। বেশ করে মেরেছি। অনেকবার মেরেছি।
তাঁর হাত ধরেই হাঁটতে শেখা। সুখে-দুঃখে-আবদারে আহ্লাদী হাতে জড়িয়ে ধরা। সেই হাতেই বাবাকে খুন!হুগলির উত্তরপাড়ায় বাবা মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। মৃত অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী কালীপদ দাস (৮৩)।
ভদ্রকালীর প্রশান্ত দত্ত সরণির বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বছর ৪০-এর বিবাহ বিচ্ছিন্না কেয়া দাস।পুলিশ সূত্রে খবর, বাবার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত মেয়ের। শনিবার সকালেও হয়েছিল। সেই বিবাদের মধ্যে আচমকাই তাঁর মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন কেয়া । মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কালীপদ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি প্রথমে বাড়ির পরিচারিকার নজরে আসে। তিনিই প্রতিবেশীদের জানান।
বাথরুমের পাশেই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এসেছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটাল মেয়ে, তা জানার চেষ্টা চলছে। মেয়েকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত মহিলার বক্তব্য, বাবা আমাদের তাড়াতে চাইছিল বাড়ি থেকে। অনেক অত্যাচার করেছে আমার ওপরে।
আপনার ছেলে কোথায়? এই প্রশ্নে অভিযুক্তের জবাব, আমি জানি না। ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারপর আমার মাথা গরম হয়ে গেছে, আমি বলেছি, আমার ছেলে কোথায় গেল? বলল আমি তাড়িয়ে দিয়েছি। তখন রেগে গিয়ে বাপির সঙ্গে খুব ঝগড়া করেছি। তারপরই বাঁশ নিয়ে আমার বাপি তেড়ে এসেছে, হাত থেকে বাঁশ কেড়ে নিয়ে মেরেছি। বেশ করে মেরেছি। অনেকবার মেরেছি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার প্রশাসক দিলীপ যাদব।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় মৃতের মেয়েকে আটক করা হয়েছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের ছেলেকে ঘটনার পর বাড়িতে দেখা যায়নি, তাঁকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে। বাড়িটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে।