Hoogly News: স্বামী ও কন্যাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ গৃহবধূর, আহত মহিলা নিজেও
আহত হয়েছেন মহিলাও। তিনজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেন এমন কাজ? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে ডিপ্রেসনে (Depression) ভুগছেন মহিলা।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পাণ্ডুয়ায় (Pandua) স্বামী ও কন্যাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপালেন এক গৃহবধূ (House Wife)। আহত হয়েছেন মহিলাও। তিনজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেন এমন কাজ? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্বামী-কন্যাকে এলোপাথাড়ি কোপ গৃহবধূর! তাতে আহত হলেন মহিলা নিজেও। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সুবিকাশ ঘোষ, তন্দ্রা ঘোষ ও তাঁদের কন্যা সুলগ্না ঘোষ।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির পাণ্ডুয়া থানা (Pandua Police Station) এলাকার খন্যান হোস্টেল পাড়ায়। কিন্তু কেন এমন কাজ? পরিবার সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে ডিপ্রেসনে (Depression) ভুগছেন মহিলা।
তাতেই এ কাজ কিনা সেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সুবিকাশ ঘোষের বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পান প্রতিবেশীরা। এরপরই তাঁরা এসে দেখেন স্বামী-কন্যাকে কোপাচ্ছেন মহিলা। পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
কিন্তু পরিবারের সদস্যদের উপর কেন চড়াও হলেন মহিলা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত নয়ই নভেম্বর হুগলিরই ধনেখালিতে আর্থিক অনটনের জেরে বাবা-মা-বোনকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক গৃহশিক্ষক।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারের গুঞ্জবাড়িতে স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে, কলেজের অধ্যাপক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এবার পাণ্ডুয়ায় গৃহবধূর হাতে আক্রান্ত স্বামী-কন্যা।
এর আগে ডানকুনিতে বৃদ্ধের একা থাকার সুযোগে বাড়িতে ঢুকে লুঠপাটের অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, বৃদ্ধের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
ডানকুনি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড রামকৃষ্ণপাড়ার বাসিন্দা অমরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (৭৮)। বাড়িতে একাই থাকেন। ১৭ নভেম্বর সকালে তাঁর পরিচারিকা কাজে এসে দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। আলমারি খোলা। প্রতিবেশী ও বৃদ্ধের মেয়ে-জামাইকে খবর দেন পরিচারিকা লক্ষ্মী হাজরা।
তিনি জানান, প্রতিদিন দু'বেলা কাজ করেন তিনি। ১৬ নভেম্বর রাতে কাজ করে অমরেন্দ্রনাথবাবুকে ওষুধ খাইয়ে চলে যান। পরদিন সকালে এসে দেখেন, তালা লাগানো ছিল না দরজায়। অমরেন্দ্রনাথবাবু হয়ত তালা দিতে ভুলে গিয়ে ছিলেন।
জামাই ডাঃ সঞ্জয় রায় বলেন, কাজের দিদি আমাদের খবর দেন। আমারা গিয়ে দেখি, মাথায় কোপানোর দাগ। ডানকুনির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। মাথায় ত্রিশটি সেলাই পড়েছে। টাকা পয়সা নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কেন মারল বুঝতে পারছি না। খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Cancer Patient: ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ, একবালপুরের নার্সিংহোমে ভাঙচুর
আরও পড়ুন: Ultadanga Flyover Closing Update: আজ থেকে বন্ধ উল্টোডাঙা উড়ালপুলের কলকাতামুখী লেন, চলাচল কোন পথে?