Hooghly Violence: 'বাইরে থেকে লোক এনেছিলেন দিলীপ ঘোষ', রিষড়াকাণ্ডে বিস্ফোরক কল্যাণ
Kalyan Attacks Dilip: রিষড়াকাণ্ডে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় দিলীপ ঘোষ। পাল্টা নিশানা করে কী বললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি ?
হুগলি: রিষড়াকাণ্ডে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) নিশানায় দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 'বাইরে থেকে প্রচুর লোক এনেছিলেন দিলীপ ঘোষ', আক্রমণে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। 'কী করে বুঝলেন বহিরাগত? হাওড়ার ঘটনার পরও কেন সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না?' কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা দিলীপ ঘোষের।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার পর এবার হুগলির রিষড়া। রাম নবমীর মিছিল ঘিরে ফের অশান্তি। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন। বাদ গেল না কিছুই। আবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও। এদিন হুগলির রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে অংশ নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকা এলাকায় অশান্তি বাধে। পুলিশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা দিলীপ ঘোষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি মিছিলে ছিলাম। হঠাৎ গন্ডগোল শুরু হয়ে গেল। বোমের আওয়াজ আসছে। কে কোথা থেকে বোমা মারছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের উপর আস্থা রাখছি।' পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, 'বেশিরভাগ বাইরের লোক। অন্য জায়গা থেকে এসে এলাকার অশান্তি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।' এই এলাকা অত্যন্ত শান্ত। এখানে অশান্তির ঘটনা কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen)। তিনি বলেন, 'পুলিশ কি উত্তরপ্রদেশের মতো বা গুজরাতের মতো এনকাউন্টার করবে? গুলি চালাবে? আমরা তো দেখেছি বিজেপির মিছিলে যখন পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে, তখনও পুলিশ সহনশীলতা দেখিয়েছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে এটা করা হচ্ছে। বাংলায় যত শান্তি বিরাজ করবে বিজেপি ততই হারিয়ে যাবে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাংলাকে অশান্ত করার জন্য এটা করছে বিজেপি।'
আরও পড়ুন, 'পুলিশের উপর আস্থা রাখছি', রিষড়াকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলীপের
গোটা ঘটনায় পুলিশি সমন্বয়ের অভাবের কথা বলছে বিশেষজ্ঞ মহল। সমন্বয়ের অভাবের কারণেই সেই সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ-প্রশাসন আগাম খবর নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার ব্য়বস্থা রাখলে ঘটনাটি রোখা যাবে। এই জায়গাতেই ফাঁক থেকে যাওয়ার কারণে বারবার অশান্তির ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।