Uttarkashi Tunnel Rescue:'চেক আপ করিয়েছো তো?', ১৭ দিন পর ছেলের গলা ছেলে শুনে আবেগপ্রবণ হুগলির সৌভিকের মা
Hooghly Worker Got Rescued:'চেক আপ করিয়েছো তো?', ছেলের সঙ্গে ১৭ দিন পরে মোবাইলে কথা বলার সময় প্রথম এই প্রশ্নই করলেন মা। সদ্য অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়েছেন হুগলির বাসিন্দা সৌরভ পাখিরা।
হুগলি: 'চেক আপ করিয়েছো তো?', ছেলের সঙ্গে ১৭ দিন পরে মোবাইলে কথা বলার সময় প্রথম এই প্রশ্নই করলেন মা। সদ্য অন্ধকার সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel Rescue) থেকে উদ্ধার হয়েছেন হুগলির বাসিন্দা (Hooghly Worker Sourav Pakhira Rescued) সৌভিক পাখিরা। ছেলের গলার আওয়াজ পেয়ে স্বস্তির হাসি মায়ের মুখে। কিন্তু চিন্তা পুরোপুরি কাটেনি। এবার প্রশ্ন, 'চেক আপ করিয়েছো তো?' আশপাশে তখন গ্রামের মানুষের ভিড়, সংবাদমাধ্য়মের বুমের যুদ্ধ।
যা বললেন...
ঘরের ছেলের উদ্ধারের খবরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন হুগলির হরিনাখালির মানুষ। এবার মোবাইলে গলার আওয়াজ পেয়ে তাঁদের মধ্যে উৎসাহের জোয়ার। কেউ বলছেন, 'আমরা সকলে এখানেই আছি, কথা শুনছি। কেউ আবার জানতে চাইলেন জয়দেব কেমন রয়েছেন?' জয়দেব অর্থাৎ জয়দেব প্রামাণিক। তিনি হুগলির নিমডাঙ্গির বাসিন্দা। সৌরভের মতো জয়দেবও গত ১৭ দিন ধরে উত্তরকাশীর সিল্কয়ারার সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন। এদিন তিনিও উদ্ধার হয়েছেন। তাঁর কথাও সৌভিককে জিজ্ঞাসা করলেন সৌভিকের মা। মোবাইলের ও পার থেকে কী উত্তর এল শোনা যায়নি ঠিকই। তবে মুখের হাসি অটুট রেখে পাল্টা প্রশ্ন মায়ের, 'সকলকে একসঙ্গেই বের করেছে?' তিনিই উদগ্রীব পড়শিদের জানালেন, জয়দেব রয়েছেন সৌভিকের সঙ্গেই। দু'জনে একসঙ্গেই হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছেন। পাড়াপড়শিরা সকলেই চান, সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন ওঁরা। সে জন্য 'বাবা তারকনাথ'-র কাছে পুজোও দিয়েছেন গ্রামের মানুষ। এবার অপেক্ষা ঘরে ফেরার।
টানটান উদ্ধার...
সকাল থেকেই সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল উত্তরকাশীর সিল্কয়ারায়। অপেক্ষায় প্রহর গুণছিলেন আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিজনেরা, দাঁত দিয়ে নখ কেটেছেন দেশের বহু মানুষ। আর কতক্ষণ? সন্ধে আটটা নাগাদ টেলিভিশনের পর্দায় ফুটে ওঠে খবর। প্রথম দু'জন শ্রমিককে উদ্ধার করা গিয়েছে। বিজয় হোরো এবং গণপতি হোরোর উদ্ধারের খবরে আশার আলো ছড়িয়ে পড়ে প্রায় গোটা দেশে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা। কিছুক্ষণের মধ্যে সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ১০, তার পর ১৫, তার পর ১৭-য়। আধ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ের মধ্যে উদ্ধার হন ৪১ জনই। উদ্ধার হওয়ার পরই ডাক্তাররা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে, খতিয়ে দেখা যাচ্ছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যও। প্রয়োজন বুঝে তাঁদের হয় আলাদা অ্যাম্বুল্যান্স বা একই অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে। শ্রমিকরা বাইরে আসতেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি।
আরও পড়ুন:'আমাদের দেখে জড়িয়ে ধরেছিলেন', শ্রমিকদের উদ্ধার করে খুশির হাসি উদ্ধারকারীদের মুখে