(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sukanta Majumdar : রাতেও অশান্ত রিষড়া, শ্রীরামপুরে সুকান্ত ধর্নায় বসার আগেই মঞ্চ খুলল পুলিশ
সকাল ১১টা থেকে শ্রীরামপুরের বটতলায় অবস্থানে বসার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
আবীর দত্ত, হুগলি : রিষড়াকাণ্ডে ( Rishra Violence ) পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar ) ধর্নায় বসার আগেই মঞ্চ খুলল পুলিশ। আজ সকাল ১১টা থেকে শ্রীরামপুরের বটতলায় অবস্থানে বসার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তার আগেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ।
৫ ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন
সুকান্ত ছাড়াও এই ধর্না-অবস্থানে যোগ দেওয়ার কথা পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর। সোমবার দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এর প্রতিবাদেই আজ অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত। এদিকে, গতকালের মতো আজও শ্রীরামপুর, রিষড়ার একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
রাতের অশান্তি
সোমবারে রাতে নতুন করে অশান্ত হয় রিষড়া। ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি, ব্যাপক বোমাবাজি হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও একের পর এক ইট, পাথরের টুকরো ছোড়া হয়। গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে রিষড়ার চার নম্বর রেলগেট এলাকায় দফায় দফায় গন্ডগোল হয়। রেললাইনে নেমে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন বলে খাবর।
আরও পড়ুন :
রিষড়াকাণ্ডের জের, দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি ফিরছেন রাজ্যপাল
একাংশে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা
গতকালের তাণ্ডবের পর সকাল থেকে চলছে পুলিশি টহল। চন্দননগর কমিশনারেট ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। সোমবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিষড়া, মাহেশ ও কোন্নগরের একাংশে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রিষড়ার চার নম্বর রেল গেট এলাকায় লাঠি হাতে রুট মার্চ করছে আরপিএফ ও পুলিশ।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শ্রীরামপুরে ধর্নায় বসার কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । তারপরই সকালে বাঁধা হয় মঞ্চ। সেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। তাহলে কি শ্রীরামপুর যাবেন না সুকান্ত ? তিনি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ' গ্রেফতারি না বন্ধ করলে অবস্থানে বসব, প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকাল চলবে, যদি এই গ্রেফতারি বন্ধ না হয়। ' তবে কি আজও ফের সুকান্ত হুগলি যাবেন? আবার কি নতুন করে মাথাচাড়া দেবে অশান্তি ? এই প্রশ্নগুলিই এখন দানা বাঁধছে সাধারণ মানুষের মনে।