(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Howrah: বাগনানে ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১
Howrah News Update: চন্দ্রপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গুলি করে ওই অভিনেত্রীকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তাঁর স্বামী এবং দেওরকে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
সুনীত হালদার, হাওড়া: বাগনানে (Bagnan) ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) অভিনেত্রী রিয়া কুমারী (Riya Kumari) খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। এই নিয়ে গ্রেফতার (Arrest) সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। মোহিত কুমার নামে ওই দুষ্কৃতীকে রাঁচি থেকে গ্রেফতার করে বাগনান থানার পুলিশ। হাওড়া জেলা গ্রামীন পুলিশের সুপার স্বাতি ভাঙ্গালিয়া বলেন মোহিত কুমার নামে ওই দুষ্কৃতী খুনের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ তাঁকে উলবেরিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য প্রায় মাঝখানেক আগে বাগনানের চন্দ্রপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে খুব কাছ থেকে গুলি করে ওই অভিনেত্রীকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তাঁর স্বামী এবং দেওরকে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
শিশুকন্যার সামনে দুষ্কৃতীরা এক মহিলাকে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ
উল্লেখ্য়, ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসার সময় খুন হন রিয়া কুমারী। আড়াই বছরের শিশুকন্যা এবং স্বামী প্রকাশ কুমারের সঙ্গে নিজেদের গাড়িতে চেপে আসছিলেন রিয়া। প্রযোজক হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন প্রকাশ। তাঁর দাবি, ভোর ৫.৩০টা নাগাদ মহিষরেখা সেতুর কাছে তিনি গাড়ি থামান। শৌচকর্ম সারতে যান। সেই সময় চড়াও হয় তিন ছিনতাইকারি। রিয়া বাধা দিতে গেলে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রিয়ার কানের পাশে গুলি লাগে।
জাতীয় সড়কের উপর কাকভোরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে প্রকাশ জানিয়েছেন, ঘটনার পর রাস্তায় একটি মানুষও দেখতে পাননি তিনি। কোনও রকম সাহায্যের অবকাশ চোখে পড়েনি। তাই রক্তাক্ত স্ত্রীকে নিয়েই গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে যান প্রায় আড়াই কিলোমিটার। রাজাপুর থানার পীরতলায় পৌঁছে একটি চায়ের দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে স্থানীয়দের সবকিছু জানান। এর পর এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
ওই এলাকার মানুষ জনই রিয়াকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পর হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনায় প্রকাশকে সন্দেহের নজরে দেখছে পুলিশ। যে নির্জন জায়গায় তিনি গাড়ি দাঁড় করান, তার পর ছিনতাইয়ের যে ঘটনা বর্ণনা করেছেন তিনি, তা সন্দেহজনক ঠেকছে পুলিশের। তাই এ দিন দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। প্রকাশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করাচ্ছে পুলিশ। রিয়াকে খুনের নেপথ্যে শুধুমাত্র ছিনতাইয়ে উদ্দেশ্য ছিল, এই তত্ত্বে খটকা লাগেছে পুলিশের।