Howrah: হাওড়া ফেরিঘাটে 'ভাল নয় লঞ্চের অবস্থা'! এবার জলপথ পরিবহনে লক্ষাধিক টাকা তছরুপের অভিযোগ
Howrah Ferry Ghat: কর্মীরা জানিয়েছেন বেশিরভাগ লঞ্চের অবস্থা ভালো নয়। দীর্ঘদিন ঠিকঠাক মেরামতি না হওয়ার কারণে সেগুলির অবস্থাও করুণ। সংস্থার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে ঠিকমতো সারানো যাচ্ছে না
সুনীত হালদার, হাওড়া: রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক (Cooperative Bank) ও কৃষি সমবায় সমিতিগুলিতে দুর্নীতির পর এবার হুগলি (Hooghly) নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতিতে বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ উঠল। এর পাশাপাশি সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন লঞ্চগুলি দীর্ঘদিন ভালোভাবে মেরামতি না হওয়ার কারণে যাত্রীরা প্রতিদিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায় হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতি। ওই সংস্থা হাওড়া থেকে প্রতিদিন শোভাবাজার, বাগবাজার, চাঁদপাল, ফেয়ারলি প্লেস এবং বাবুঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায়। হাজার হাজার নিত্যযাত্রী হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করেন। আগে এই সংস্থায় কুড়িটির বেশি লঞ্চ চললেও বর্তমানে বারোটা লঞ্চ চলছে। ফলে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যতগুলি ট্রিপ হতো এখন তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক ট্রিপ হচ্ছে।
কর্মীরা জানিয়েছেন বেশিরভাগ লঞ্চের অবস্থা ভালো নয়। দীর্ঘদিন ঠিকঠাক মেরামতি না হওয়ার কারণে সেগুলির অবস্থাও করুণ। সংস্থার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে সেগুলোকে ঠিকমতো সারানো যাচ্ছে না, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে লঞ্চের কর্মীরা ছাড়াও যাত্রীরা প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও তারা জানান তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। কোন আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। সংস্থার একাধিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়েও সরব হন কর্মীরা।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন একাধিক লঞ্চের অবস্থা শোচনীয়। ওই অবস্থায় লঞ্চগুলি চালানো হচ্ছে। টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন থেকে সংগৃহিত অর্থ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। যদি রাজ্য সমবায় দফতর কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
আরও পড়ুন, পূর্ণিমায় ষাঁড়াষাঁড়ির বানে সমুদ্রে বাড়ছে জলস্তর, প্লাবনের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে এলাকাবাসী
এদিকে এ প্রসঙ্গে রাজ্যে সময় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন ওই সংস্থাকে বাঁচাতে তার দফতর থেকে আগে ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে যে অভিযোগ উঠছে তা অত্যন্ত গুরুতর। তিনি এ ব্যাপারে পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসবেন।