Howrah News: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির প্রভাব! পতাকার চাহিদা তুঙ্গে, কারখানায় রাতজেগে চলছে কাজ
Har Ghar Tiranga: স্বাধীনতার ৭৫ বচর পূর্তিতে, এ বছর স্বাধীনতা দিবসের আগে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির ঘোষণা হয়েছে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির (Har Ghar Tiranga) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আওতায় সরকারি, বেসরকারি ভবন-সহ দেশের ২০ কোটি বাড়ির মাথায় জাতীয় পতাকা (Indian National Flag) তোলার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। তাতে চরম ব্য়স্তা চোখে পড়ছে হাওড়ার পতাকা তৈরির কারখানাগুলি। জাতীয় পতাকার চাহিদা এত বেড়ে দিয়েছে যে, কার্যতই নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করে চলেছেন কারখানার কর্মীরা। রাত জেগে কাজ করছেন তাঁরা। আবার বিপুল পরিমাণ পতাকা তৈরির বরাত পেয়ে খুশি কারখানার মালিকরাও (Howrah News)।
চাহিদার জোগান দিতে ব্যস্ততা কারখানাগুলিতে
স্বাধীনতার ৭৫ বচর পূর্তিতে, এ বছর স্বাধীনতা দিবসের আগে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির ঘোষণা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত ‘অমৃত মহোৎসব’-এর অন্তর্ভুক্ত এই কর্মসূচি। এর আওতায় শুধু বাড়ির ছাদে পতাকা তোলাই নয়, ফেসবুক, ট্যুইটার-সহ সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলও জাতীয় পতাকায় শোভিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এই কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এ বছরে স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতীয় পতাকার চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। জগাছার উনশানিতে পতাকা তৈরির কারখানায় কর্মচারীরা কার্যত নাওয়া খাওয়া ভুলে রাত জেগে কাজ করছেন। এখানকার পতাকা তৈরীর কারিগররা ছোট-বড়-মাঝারি, বিভিন্ন আকারের জাতীয় পতাকা তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: Jharkhand MLA: হাওড়া নোটকাণ্ডে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে সিআইডি তদন্ত, কেন?
এখান থেকে পতাকা আসাম, ত্রিপুরা, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় কর্মীদের হাতে তৈরি পতাকা সরাসরি চলে যাচ্ছে। আবার উৎপাদনের বেশ বড় অংশ কলকাতার বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকে পতাকা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।
জাতীয় পতাকার চাহিদা তুঙ্গে রাজ্যের জেলায় জেলায়
ফি বছর স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতীয় পতাকার ভালই চাহিদা থাকে। করোনা কালে তাতে ছেদ পড়েছিল। কিন্তু এবারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে চাহিদা তুঙ্গে। এতে কারখানার মালিক এবং কর্মচারীরা মনে করছেন, দেশের জন্যই তাঁরা কাজ করছেন। তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করে কাজ শেষ করছেন তাঁরা। দেশবাসীর আবেগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি বলে জানিয়েছেন।