Alipurduar News: জঙ্গলের অন্দরে ৭ কিলোমিটার ধরে কালো প্লাস্টিকের আবর্জনা, কী হচ্ছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে?
Buxa Tiger Reserve:বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে দানা বাঁধছে কালো প্লাস্টিক রহস্য। ৩১ নং জাতীয় সড়কের দু'ধারের জঙ্গলে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় সারি সারি কালো প্লাস্টিকে মোরা আবর্জনার স্তূপ।

অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে (forest) দানা বাঁধছে কালো প্লাস্টিক রহস্য (black plastic)। ৩১ নং জাতীয় সড়কের দু'ধারের জঙ্গলে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় সারি সারি কালো প্লাস্টিকে মোরা আবর্জনার (dirt) স্তূপ। একই ছবি জঙ্গলের ভিতরেও। বন্যপ্রানীদের (wildlife) ক্ষতির (threat)আশঙ্কা স্থানীয়দের। কারা ফেলছে ওগুলি? জানেন না কেউ। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বনবিভাগের ভূমিকা।
কী হয়েছে?
আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বিভাগ। সেই প্রকল্পের জঙ্গলের বুক চিড়ে চলে গিয়েছে ৩১ নং জাতীয় সড়ক। দেখা যায়, এই জাতীয় সড়কের দু-ধারে, জঙ্গলের মাঝে একের পর এক কালো প্লাস্টিকে ভর্তি আবর্জনার স্তুপ। কালকুট নদীর সেতু থেকে পোরো বনবস্তি পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার দু-ধারেই কার্যত একই ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। কোথাও সেই স্তূপ ফেটে বেড়িয়ে আসছে কোথাও পচা খাদ্য সামগ্রী, কোথাও আবার প্লাস্টিকের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে অন্য কোনও সামগ্রী। দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে এলাকা। কোথাও প্লাস্তিকের ভিতর থেকে বের করে এনে আবর্জনাই খাচ্ছে গৃহপালিত প্রাণীর দল। শুধু তাই নয়, ডিমা নদীর সেতু সংলগ্ন জঙ্গলের মাঝেই এক জায়গায় ফেলা হয়েছে আনুমানিক এক ট্রাক পরিমাণ আবর্জনার স্তূপ। সব মিলিয়ে বন্যপ্রানীদের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও ক্ষিপ্ত তাঁরা।
কী বলছে বন দফতর?
এই বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে জানান, খবরটা এসেছে। তবে কারা এই আবর্জনাগুলো ফেলে গিয়েছে এখনও জানা যায়নি। সম্ভবত রাতের অন্ধকারে কেউ বা এই কাজ করেছ। প্লাস্টিক সার্বিক ভাবে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর, সে কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে সেখানে ক্ষতিকারক কিছু রয়েছে কিনা, সেটা দেখা হচ্ছে। যদিও পরবর্তীতে তিনি আবার জানান, সেখানে কিছু ঠান্ডা পানীয়ের বোতল এবং ফেলে দেওয়া খাদ্য সামগ্রীর নমুনা পাওয়া গেছে। অবিলম্বে সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন। প্রসঙ্গত, লাগোয়া কোচবিহারে অন্য একটি ঘটনায় সাধারণ জনতার হাতে আক্রান্ত বন দফতরের কর্মীরা। বুধবার রাতে তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটের বাঁশরাজা এলাকার ওই ঘটনায় এক জন বনকর্মী জখম হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, তাঁর আঘাত গুরুতর। ফলে পরবর্ততে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন:ফের নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ, জড়াল মন্ত্রীর নাম, এবার কোথায়?






















