Kolkata: শহরে জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য, তদন্তে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা
Kolkata News: শহরে জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধল। নাদিয়ালে এমব্রয়ডারি কারখানা থেকে উদ্ধার হল যুবকের গলাকাটা দেহ।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও জয়ন্ত রায়, কলকাতা: নাদিয়ালে (Nadiyal) কারখানার ঘর থেকে যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার (dead body recovered) হল। মহেশতলায় (Maheshtala) অবৈধ মদের ঠেকে মিলল তরুণের রক্তাক্ত দেহ। নাদিয়ালের ঘটনার তদন্তে নেমেছেন লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও।
শহরে জোড়া মৃত্যুতে চাঞ্চল্য
শহরে জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধল। নাদিয়ালে এমব্রয়ডারি কারখানা থেকে উদ্ধার হল যুবকের গলাকাটা দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় মদের ঠেক থেকে উদ্ধার ২২ বছরের তরুণের দেহ। নাদিয়ালের আয়ুবনগরে শুক্রবার রাতে স্থানীয় একজনের চোখে পড়ে, এমব্রয়ডারি কারখানার একটি ঘরের দরজা খোলা। ভিতরে আলো জ্বলছে। তিনি গিয়ে দেখেন, কারখানার কর্মী ওয়াসিম আনসারির গলা কাটা দেহ পড়ে আছে মেঝেয়। দু’হাতেও রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। আর পাশে পড়ে রয়েছে একটি ব্লেড। ওয়াসিম আনসারির বাড়ি মেটিয়াবুরুজে। তিনি দু’দিন আগেই নাদিয়ালের এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, 'ফুটবল বিশ্বকাপের খেলা দেখছিলাম। হইচই শুনে বাইরে এসে দেখি এই ঘটনা।' অপর এক বাসিন্দার কথায়, 'পুলিশ এসেছিল। ওই ছেলেটি দু’দিন ধরে কাজ করছিল। নাম জানি না।'
ঘটনাস্থলে আসে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা। খুন না আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। কারখানার ঘরটি পুলিশ সিল করে দিয়েছে।
অন্য ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাটানগর মল্লিকবাজার এলাকায়। শুক্রবার রাত থেকে বাড়ি ফেরেননি ২২ বছরের শান্তনু বাহাদুর। শনিবার সকালে তাঁর বাবা প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দেখেন, স্থানীয় অবৈধ মদের ঠেকের সামনে কয়েকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে। সেখানে উঁকি দিয়ে তিনি দেখেন, তাঁর ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মাথায় রয়েছে গভীর আঘাতের চিহ্ন।
মৃতের বাবার কথায়, 'আমি ভেবেছিলাম কাজে গেছে। সকালে মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে দেখি কয়েকজন মাছ বিক্রেতা কিছু দেখছে। আমি গিয়ে দেখি, ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেভাবে আঘাত রয়েছে, তাতে মনে হয়েছে খুন।' মৃতের প্রতিবেশীর কথায়, 'ওর বাবা আমাদের ডাকল। আমরা এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।'ন মৃতের ৬ বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, তাঁদের মধ্যে একজন, রাহুল রাও স্বীকার করেছেন, মদের আসরে তাঁকে গালিগালাজ করায় তিনি রাগের বশে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে শান্তনুকে খুন করেছেন।