Bankura News: দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত, ওন্দার বিজেপি বিধায়কের দাবি মানছে না দলই
Inner Clash In BJP:পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। এদিকে নিজের বিধানসভা এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে, জানিয়ে দিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক।

পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। এদিকে নিজের বিধানসভা (constituency) এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থিতালিকা (candidate list) চূড়ান্ত (final) হয়ে গিয়েছে, জানিয়ে দিলেন ওন্দার (Onda) বিজেপি (BJP) বিধায়ক (MLA)। যদিও বিজেপি জেলা সভাপতির (district president) বক্তব্য, প্রার্থিতালিকা নিয়ে বিধায়ক যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত (personal decision) সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে অর্ন্তকলহের (inner clash) ছায়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
কী নিয়ে বিতর্ক?
বছর ঘুরলেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে তার দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। এর মধ্য়েই নিজের বিধানসভা এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত বলে দাবি করলেন বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অমর নাথ শাখা। রবিবার ওন্দায় দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে ওন্দা বিধানসভা এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। ওন্দা এলাকায় মণ্ডল সভাপতি ও শক্তিপ্রমুখদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে এবং পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থী উচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে হবে বলেও দাবি করেন বিধায়ক। শুধু তাই নয়। রামসাগরে ছটপুজাকে সামনে রেখে দলের পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে নিয়ে রবিবাসরীয় প্রচারও সেরে ফেলেন অমর নাথ। এদিকে দলের জেলা নেতৃত্ব বিধায়কের এই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছে না। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতির বরং দাবি, প্রার্থী তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত একেবারেই বিধায়কের ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই। অন্য দিকে বিজেপি বিধায়কের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দাবিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ওন্দা ব্লক তৃণমূল সভাপতির দাবি, ওন্দায় বামের সঙ্গে রামের জোট হবে। তাই আসন বণ্টনের কাজ আগাম সেরে ফেলছেন বিধায়ক। ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের এমন মতান্তর শাসকদলকে যে কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন জোগাতে পারে, সে ব্যাপারে এর মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
অন্তর্কলহের ছায়া আগেও?
রাজ্য বিজেপির মধ্যে বিভাজনের ইঙ্গিত আগেও একাধিকবার টের পেয়েছে রাজনৈতিক মহল। গত ১৯ অক্টোবর বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যেমন বলেছিলেন, 'সুকান্ত মজুমদার থাকলেও তাঁর কথা আমাকে শুনতে হবে তার কোনও মানে নেই। মানব না। অন্য কোনও নেতাকে মানব না। আমার মাথার ওপরে শুভেন্দু অধিকারী-দিলীপ ঘোষ বাদ দিয়ে অন্য কোনও নেতাকে মানব না। বাংলায় কয়েক জন অযোগ্য বসে। বাংলা জয় করা খুব কঠিন। শুভেন্দুদা, দিলীপদা লড়ছেন। কিন্তু বাকি সব অযোগ্যের ভিড়ে, অযোগ্য নেতৃত্বের বলে চলছে।' পরে জবাব দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার দমদমের কর্মী সম্মেলনে বলেন,'যোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ না। তাই আমরা চা ওয়ালাকে প্রধানমন্ত্রী করে সেটা আমরা প্রমান করে দিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্বাসযোগ্যতা।' এবার কি সেই একই আঁচ ধরা পড়ল ওন্দায়?






















