Jadavpur University: তীব্র অর্থ সঙ্কটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্যকে চিঠি উপাচার্যের
Jadavpur University Financial Crisis:তীব্র অর্থ সঙ্কটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রয়োজনীয় তুলনায় আসছে না রাজ্যের সাহায্য। বন্ধ কেন্দ্রীয় অনুদানও। উপাচার্যের চিঠি রাজ্যকে। সাহায্যের আবেদন প্রাক্তনীদেরও।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: তীব্র অর্থ সঙ্কটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। এবার রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অর্থ সঙ্কটের বিষয় জানিয়ে সরকারকে চিঠি, জানালেন যাদবপুরের সহ উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের কাছে অনুদান চেয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “যে তুলনায় খরচ হচ্ছে, সেই তুলনায় টাকা পাচ্ছি না রাজ্যের কাছ থেকে। বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানও।’’
তীব্র অর্থ সঙ্কটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়: দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্য-দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও তার সুখ্যাতি কৃতী ছাত্র-ছাত্রীরা কর্মসূত্রে ছড়িয়ে গোটা বিশ্বে। এহেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন চরম অর্থসঙ্কটে ভুগছে। পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে দুটো চিঠি দিয়েছেন উপাচার্য। যার মধ্যে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রাক্তনীদের। অন্যটি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। প্রাক্তনীদের দেওয়া চিঠিতে অনুদান দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ভিত্তিক ফান্ড বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বেতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত যে খরচ তার ব্যয়ভার বহন করে রাজ্যই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন ছাড়া, জল, বিদ্যুত্, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন, বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণ প্রভৃতি বাবদ বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ প্রয়োজনের তুলনায় রাজ্য সরকার কম অর্থ দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, যে পরিমাণ খরচ বেড়েছে, সেই তুলনায় রাজ্য সরকারের থেকে খরচ পাচ্ছে না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারও অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যার জেরে তৈরি হয়েছে চরম অর্থসঙ্কট! বিষয়টা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছেন উপাচার্য।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট রয়েছে। প্রাক্তনীদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, একটা আর্থিক সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য টাকা দিচ্ছে বেতন খাতে এবং অবৈতনিক খাতে টাকা দেওয়া হয়। বেতন খাতে একশো শতাংশ পাচ্ছি। অবৈতনিক খাতেও টাকা পাচ্ছি। কিন্তু যে পরিমাণ টাকা পাচ্ছি তা পর্যাপ্ত নয়। কারণ বিপুল পরিমাণে খরচ বেড়েছে।'' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান বা রুসা ১০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিল। এরমধ্যে ৪১ কোটি টাকা পেলেও, ৫৯ কোটি টাকা এখনও বাকি। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রকল্প এখন বন্ধ রয়েছে। এমনকী কোভিড কালে কনসালটেন্সি থেকেও আয় কমে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। সব মিলিয়ে দেশের অন্যতম অভিজাত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থ সঙ্কট থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: WB State Election Commission: ২ নভেম্বর সর্বদল বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন