Jalpaigur News: জেলার সরকারি হাসপাতালের জটিল অস্ত্রোপচার কিশোরের, কানের পিছন থেকে বেরলো গাছের ডাল
জেলার সরকারি হাসপাতালের জটিল অস্ত্রোপচারে রক্ষা পেল কিশোর। রোগীদের কলকাতায় রেফার করা নিয়ে, প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়ে জেলার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Super Speciality Hospital) সফল অস্ত্রোপচার। রক্ষা পেল কিশোর। কানের পিছন থেকে বের করা হল কাঠের টুকরো। স্বস্তি পরিবারের। ৩০ মিনিটের অস্ত্রোপচার। কানের পিছন থেকে বের করা হল ৫ ইঞ্চি কাঠের টুকরো।
জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য: জেলার সরকারি হাসপাতালের জটিল অস্ত্রোপচারে রক্ষা পেল কিশোর। রোগীদের কলকাতায় রেফার করা নিয়ে, প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়ে জেলার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো। এই প্রেক্ষাপটে জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য এল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
ঠিক কী হয়েছিল: স্থানীয় সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির ক্লাস সিক্সের এক ছাত্র গত মঙ্গলবার চা বাগানে গাছের ডাল কাটতে গিয়েছিল। হঠাৎ ডাল ভেঙে নীচে পড়ে যায় জয়ন্ত রায় নামে ১১ বছরের ওই কিশোর। তখনই তার কানের পিছনে প্রায় ৫ ইঞ্চি ঢুকে যায় চা গাছের ডাল। রক্তাক্ত অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সঙ্গে সঙ্গেই তাকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয়। প্রায় আধ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে কিশোরের কানের পিছন থেকে ডালের টুকরো বের করেন চিকিৎসকরা।
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জীবকুমার রায়ের কথায়, আমার চিকিৎসা জীবনে প্রথম এত অল্প বয়সে এই অপারেশন করলাম। সাধারণত এই ক্ষেত্রে বাইরে রেফার করি। এখন সুস্থ আছে, নর্মাল ডায়াট করছে। বাইরে গেলে ৩০ হাজার টাকা খরচ হত, গরিব পরিবার সেটা দিতে হয়নি।
অসুস্থ ছিলেন বাবাও: মঙ্গলবার ছেলের সঙ্গে চা বাগানে গিয়েছিলেন বাবাও। চোখের সামনে ছেলেকে রক্তাক্ত হতে দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনিও। অবশেষে ছেলের অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায়, স্বস্তিতে বাবা।
অসুস্থ কিশোরের বাবা দীনেশচন্দ্র রায় বলছেন, অপারেশনের কথা শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম, চিকিৎসকরা আস্বস্ত করেছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ। এর আগেও উনি এরকম ভাল অপারেশন করেছিলেন। আমি ভাবতে পারিনি, আবার ওনার কাছেই আসতে হবে। হাসপাতাল থেকে এখনও ছুটি পায়নি ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া। তবে এখন সে সুস্থ আছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।