Jalpaiguri News: পঞ্চায়েত অফিসে হঠাৎ হাজির BDO, সময় মতো অফিসে না আসায় স্বাস্থ্য কর্মীকে ধমক
BDO Warned Health Worker: সময় মতো অফিসে না আসার জন্য আচমকা পঞ্চায়েত অফিসে এসে ধমক দিলেন বিডিও।
রাজা চট্টোপাধ্যায়,জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত অফিসে হঠাৎ হাজির বিডিও (BDO)। জনগণ পরিষেবার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে ? না জনগণকে পরিষেবা দিতে দাঁড়িয়ে থাকবেন কর্মচারীরা ? প্রশ্ন তুলে সময় মতো অফিসে না আসার জন্য এক স্বাস্থ্য কর্মীকে (Health Worker) দিলেন ধমক।
জনগণ পরিষেবার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে ?
আচমকা ফুলবাড়ি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ টা বাজতেই আচমকা পরিদর্শনে রাজগঞ্জ বিডিও প্রশান্ত বর্মণ।এসে দেখেন অফিসে কেউ নেই। কিন্তু কয়েকজন নাগরিক ইতিমধ্যে পরিষেবা নিতে চলে এসেছেন। কার্যালয়ে আসেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রফিকুল ইসলাম। এদিকে প্রায় সাড়ে ১০ টা বেজে গেলেও অধিকাংশ আধিকারিক বা কর্মচারী অনুপস্থিত। সকাল ১০ টায় অফিসে আসার কথা থাকলেও তা যে মানা হচ্ছে না সেটা তার বুঝতে অসুবিধা হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি উপস্থিতির খাতা দেখে বাকি প্রত্যেককে শোকজ করেন।
দেরি করে আসার কারণে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে ধমকান বিডিও
দেরি করে আসার কারণে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে ধমকান বিডিও। পরিদর্শন করার পর বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানিয়েছেন, 'ফুলবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে পরিদর্শনে এসেছিলাম, সাধারণ মানুষ পরিষেবা নিতে দাঁড়িয়ে থাকবে না পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর্মচারীরা দাঁড়িয়ে থাকবে ? এই ধরনের পরিদর্শন করতে যাওয়ার আগে নিজের ড্রাইভারকেও জানিয়ে যায় না। আজ যারা অনুপস্থিত ছিল, তাদের শোকজ করা হয়েছে, এই ধরণের পরিদর্শন লাগাতার চালানো হবে।'
'এই বার্তাটা যেন সকলের কাছে পৌঁছে যায়..'
বিডিও বলেন, 'গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে ব্লকে যতগুলি দপ্তর রয়েছে সেখানে সরকারের যে পরিষেবা গুলি রয়েছে তা যেনও সাধারণ মানুষ সঠিক সময়ে পায়। কারণ নাগরিকরা পরিষেবা নিতে এসে অপেক্ষায় থাকবে না, আমরাই তাদের অপেক্ষায় থাকব, এই বার্তাটা যেন সকলের কাছে পৌঁছে যায় সেই উদ্দেশ্যেই সারপ্রাইজড ভিজিট করলাম।'
আরও পড়ুন, বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে অভিষেকের সওয়াল, মুখ খুললেন ফিরহাদ
রাজ্য জুড়ে বিডিওদের নানা ছবি এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও দেখা গিয়েছে,বিডিও বদলির জেরে বিদায়ী মঞ্চে চোখ ভিজিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। কখনও আবার বিডিওর বিরুদ্ধেই উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। প্রথম ঘটনাটা গতমাসেই ঘটেছে। নন্দকুমারের বিডিওর বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। যদিও সেই ছবি সামনে আসতেই একযোগে আক্রমণ করেছিল বিজেপি ও সিপিএম। সরকারি নির্দেশে বদলি হন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সি। তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেই বিডিও পরিবর্তনে অশ্রু স্রোতে ভেসে গিয়েছিলেন শাসক দলের বিধায়ক সুকুমার দে। তৃণমূল বিধায়ককে কাঁদতে দেখে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বিদায়ী বিডিও। অপর ঘটনাটি ঘটেছিল মালদায়। মালদার কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরাসরি কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।