Kamduni Verdict: 'এই রায় আশা করিনি...সুপ্রিম কোর্টে যাব', কান্নায় ভেঙে পড়লেন টুম্পা
Kolkata High Court:২০১৩ সালের সেই ঘটনায় এক দশক পরে এল হাইকোর্টের রায়। তা ঘিরেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ টুম্পা কয়াল।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: রাজ্য়ে পালাবদলের পরপরই উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) ঘটে গিয়েছিল নারকীয় এক ঘটনা। কামদুনিতে (Kamduni Verdict) এক ছাত্রীর উপর পাশবিক অত্য়াচারের ঘটনা ঘটেছিল। গণধর্ষণ করে নারকীয় ভাবে হত্যা করা হয়েছিল ওই ছাত্রীকে। ২০১৩ সালের সেই ঘটনায় এক দশক পরে এল হাইকোর্টের রায়। তা ঘিরেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ টুম্পা কয়াল।
কামদুনিকাণ্ডের রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের। দোষী সাব্যস্ত আনসার আলি মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ। দোষী সাব্যস্ত সইফুল আলি মোল্লারও ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ। ফাঁসির সাজা হয়েছিল অভিযুক্ত আমিন আলির, আজ বেকসুর রেহাই আমিন আলির। রেহাই ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুর ইসলামের। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কামদুনির দুই প্রতিবাদী টুম্পা এবং মৌসুমী কয়াল।
টুম্পা কয়াল বলেন, 'আমরা অনেক আশা নিয়ে হাইকোর্টে এসেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যারা দোষী তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। রাজ্য়ের মানুষ দেখেছিল আমাদের আন্দোলন, আমরা নিরপেক্ষ ভাবে আন্দোলন করেছিলাম। আমরাও আরও ভরসা করেছিলাম আমাদের সরকারের উপরে। আমাদের সরকার গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে যারা দোষী তারা শাস্তি পাবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা হাইকোর্টে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি।' কলকাতা হাইকোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ ছিল যে, অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই সাত-দশ বছর সংশোধনাগারে রয়েছেন। সেই কারণেই মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের রেহাই দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করায় টুম্পা বলেন, 'আমার কিছু বলার নেই। আমাদের রাজ্যে যেখানে একের পর এক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা যে হাইকোর্টে এই রায় পাব এই আশাটাই করিনি। আমরা আস্থা রেখেছিলাম বিচারপতির উপর। আজকে আমাদের কামদুনিতে হয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্ট যাব। আমরা শেষ দেখে যাব।'
ক্ষুব্ধ মৌসুমী কয়ালও:
রায়ের পর আদালত চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কামদুনি কাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। তিনি বলেন, “টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের উকিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বিচার দিতে পারলেন না।’
মৃতার ভাইও এই রায়ে অত্যন্ত হতাশ বলে জানিয়েছেন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনিও।
আরও পড়ুন: উকিল বিক্রি হয়ে গিয়েছে, সরকার পারেনি - কান্নায় ভাঙলেন প্রতিবাদী মৌসুমী