'মোদির লোক? শেষ মুহূর্তে বলেছিলেন হ্যাঁ', তাতেই মর্মান্তিক পরিণতি কলকাতার সমীরের
কিন্তু কেন, কেন সন্ত্রাসবাদীরা কাউকে মারার সময় মোদির নাম করছে ? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর কারণ হল ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করা।

ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা। চরম পরিণতি দেওয়া। জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল কাশ্মীরের পহেলগাঁও। ২৬ জনের মৃত্যু । তবে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছাড়াও জঙ্গিদের বুলি থেকে আরও একটা জিনিস স্পষ্ট। তা হল, মোদি বিদ্বেষ। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে শোনা গেল একটাই কথা। গুলি করার আগে জিগ্যেস করা হয়েছে, তুমি মোদির লোক ? অথবা স্বামীর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর স্ত্রীকে বলা হয়েছে , মোদিকে গিয়ে বল। এর থেকে পরিষ্কার, এই জঙ্গিদের সরাসরি রোষ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপর ।
'মোদিকে বলো'
যেমন, কাশ্মীরে নিহত পর্যটকের স্ত্রী পল্লবী রাও। বলেন, ' যে আমার স্বামীকে মারল সে যাচ্ছিল। আমি ওকে বললাম আমাকেও মারো। তুই আমাকেও মার। আমার ছেলেও বলল। তো ও আমাকে মারল না। ও বলল, মোদিকে বলো। ও বলল, না মোদিকে বলো। বলে চলে গেল ওখান থেকে। '
'তুমি কি মোদির লোক?'
কাশ্মীরে নিহত বাঙালি পর্যটকের প্রতিবেশীও জানালেন, মৃত সমীর গুহর মেয়ে জানিয়েছেন, তাঁর বাবাকে জিগ্যেস করা হয়, তুমি কি মোদির লোক? মোদির লোক? তিনি বোধি হয় শেষ মুহূর্তে বলেওছিলেন, 'হ্যাঁ আমি মোদির লোক। ' তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই শ্যুট করে দেওয়া হয়। চোখের সামনে। তারপরই সব শেষ।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলেই কি আক্রোশ সন্ত্রাসবাদীদের?
কিন্তু কেন, কেন সন্ত্রাসবাদীরা কাউকে মারার সময় মোদির নাম করছে ? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর কারণ হল ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করা। ২০২৯ সালের অগাস্টের আগে পর্যন্ত ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর কিছু বিশেষ সুবিধা ভোগ করত। ২০১৯ সালে সেই অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের সেই বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই জম্মু কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যায়। সুরক্ষার আশ্বাস পেয়ে বহু পর্যটক যেতে শুরু করেন ভূস্বর্গে। তাতে বদলাতে শুরু করে কাশ্মীরের মানুষের জীবন, মনস্তত্ত্ব। আর এটাই বোধ হয় মেনে নিতে পারেনি সন্ত্রাসীরা। তাই এই মোদি বিরোধিতা।





















